মাগুরায় ধর্ষিত শিশু আছিয়া মৃত্যু বরণ করায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং তার ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহষ্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাতটায় যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে আছিয়ার ধর্ষকদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে যবিপ্রবির প্রধান ফটকে মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বোন আছিয়ার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।আমরা চাই ধর্ষকের পাথর নিক্ষেপ করে মারা হউক। আমরা চাই বাংলাদেশে এমন আইন বাস্তবায়ন করা হউক যে বা যারা ধর্ষন এর মতো অপরাধ মুলক কাজ করুক উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে পাথর নিক্ষেপ করে তাকে মারা হউক।যাতে দ্বিতীয়বার কেউ এমন অপরাধ করার আগে ভাবে। শিক্ষার্থীরা আর ও বলেন ২৪ এর আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।তবে এখুনো কেন ৭২ এর সংবিধানের আইন চলবে? কেন ধর্ষকের শাস্তি পেতে ১৮০ দিন এত সময় লাগবে? আমরা চাই দ্রত বিচার কার্যের মাধ্যমে ধর্ষনের শাস্তি প্রকাশ্যে পাথর নিক্ষেপ করে ধর্ষকের মৃত্যু দেওয়া হউক।
এন এফ টি বিভাগের শিক্ষক তানভীর আহমেদ বলেন, যেভাবে আমাদের সমাজে ধর্ষণ বেড়ে গেছে এজন্য আমাদের যাদেরই মেয়ে সন্তান আছে সবাই আতঙ্কিত। এখুন প্রশ্ন হলো এটার সমাধান কি? উদাহরণস্বরূপ যদি কোনো অসুখ হয় দুইভাবে সমাধান করা যেতে পারে। প্রথন রোগ প্রতিরোধ করা, দ্বিতীয় নিরাময়ের ব্যবস্থা করা। এখুন আমাদের সমাজে যেভাবে অপরাধ বেড়ে গেছে এখুন নিরাময় ব্যবস্তা করতে হবে। যেটা কঠোর আইন ছাড়া সম্ভব না। আমি মনে করি আমাদের দেশের আইনের দুর্বলতা আছে। আমি মনে করি এমন ধর্ষকের মতো অপরাধিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক। যাতে দ্বিতীয় বার কেউ এমন অপরাধ করতে গেলে তার অন্তর কেপে যায় যে এই অপরাধের শাস্তি কি ভয়ঙ্কর হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :