ঢাকা শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫

বিএনপির ইফতার অনুষ্ঠানে শেকৃবি উপাচার্য, সমালোচনার ঝড়

শেকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৫, ১০:১৮ পিএম

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজনে ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ভাইস চ্যান্সেলরের উপস্থিতি নিয়ে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের মাঝে তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠছে।

অনেকেই অভিযোগ করেন, এ ঘটনাটি রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব এবং পেশাদারিত্ব এর সাথে জড়িত এবং শেকৃবি প্রশাসনের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার নিয়ে চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আসলে শেকৃবি প্রশাসন রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ কি না।

এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবুল বাসার এতে অংশ নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ। শেকৃবি ভিসির এই অনুষ্ঠানে যোগদানকে অনেকেই নিয়মবহির্ভূত ও পেশাদারিত্ববিরোধী বলে মনে করছেন।

এ ছাড়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমাজের একাংশ এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তারা মনে করছেন, উপাচার্যের এমন আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও নিরপেক্ষতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবে ভিসির নিরপেক্ষতা বজায় রাখা উচিত ছিল।

শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলছেন, একজন উপাচার্য যদি রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশ নেন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?

এ বিষয়ে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের একটি প্রোগ্রাম ছিল যেখানে দোস্তদের মধ্যে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‍‍‍‍`তারা আমাকে ডেকেছিল, তাই আমি গিয়েছি। এটা বিএনপির কোনো প্রোগ্রাম ছিল না। তারা বিএনপি ও করে না।‍‍‍‍`

তবে ব্যানারে দেখা যায়,এটি ছিল ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত প্রোগ্রাম।

উল্লেখ্য, এর আগেও ছাত্রদলের ব্যানারে কয়েকজন শিক্ষককে মানববন্ধন করতে দেখা গেলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।