সহশ্রাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে ইফতার সম্পন্ন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। শনিবার (১৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্রিকেট মাঠে শিক্ষার্থীদের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়।
ইফতারে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, বন্ধ ক্যাম্পাসে ইফতারে সময় অনেক শিক্ষার্থীরই সমস্যা হয়। হলের ডাইনিংয়ে ইফতারের সুবিধা না থাকায় এবং আশপাশের দোকানগুলোর খাবারের মান খুব একটা ভালো না হওয়ায় আমাদের সমস্যা হয়। কয়েকদিন আগে ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের জন্য ইফতারির আয়োজন করেছিল। আজকে ছাত্রদল করেছে। এজন্য ছাত্রদলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে এমন ভালো কাজের প্রতিযোগিতা চালু থাকুক।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, শাখা ছাত্রদলের এমন আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই। ছাত্রদলের প্রতিটি নেতাকর্মী সৃজনশীল কাজের সাথে যুক্ত হবেন, শিক্ষার্থীদের কাছে যাবে এবং মানুষের পাশে দাঁড়াবে। মানুষের আশা ও ভালোবাসা অর্জন করাই হবে ছাত্রদলের আগামী দিনের শপথ।
জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, এতদিন বিএনপি ও ছাত্রদলের ইফতারি ছিল ঘরোয়াভাবে। দেশনায়ক তারেক রহমান সেই পদ্ধতি বদল করে উন্মুক্তভাবে ইফতার আয়োজনের পদ্ধতি চালু করেছেন। আমরা সবাই একসাথে ইফতার করবো এবং আমরা যে ঐক্যবদ্ধ তা প্রমাণ করবো।
বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দুই দশক ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছাত্র সংগঠন ছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ছাত্রদলের বিভিন্ন কমিটিভুক্ত সদস্যরা আজকে ডিআইজি, সচিব। ছাত্রদলের কর্মীদের মতো মেধাবী আর কোন সংগঠনে নাই। আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ার প্রথম পদক্ষেপ আজকের ইফতার মাহফিল।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, নব্বইয়ের অভ্যুত্থানে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছিল ছাত্রদল। তারা শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবে, গণমানুষের জন্য কাজ করবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কাজ করার মাধ্যম জাতীয়তাবাদী মূলমন্ত্র মানুষের কাছে পৌঁছে দিবে। আজকের ইফতার মাহফিল আয়োজন করার জন্য ছাত্রদলকে আমি আন্তরিকভাবে সাধুবাদ জানাই।
এ সময় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান, ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।