ঢাকা সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫

জাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের স্থায়ী ঠিকানা ও ক্লাসরুম সংকট নিরসনের জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইনস্টিটিউটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে একত্র হয়ে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করে। এসময় শিক্ষার্থীরা "আর নয় বাহানা দিতে হবে ঠিকানা"; "দিতে হবে দিতে হবে স্থায়ী ভবন দিতে হবে"; "ভবন চাই ভবন চাই দিতে হবে হবে" ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করে ৪৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের চাওয়া ক্লাসরুম সংকট নিরসন। ৭ টি ব্যাচ চলে আসার পর কোনো একটি ব্যাচের পরীক্ষা শুরু হলে ক্লাস করা দুরূহ হয়ে যায়। ইনস্টিটিউট হিসেবে আমাদের যে অধিকার সেটা আমরা চাই।

আমরা আশা করি বর্তমান প্রশাসন একটি স্বয়ং সম্পুর্ণ ভবনের ব্যবস্থা করে দিবেন এবং যতদিন আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হবে শিক্ষার্থীরা তাদের যৌক্তিক দাবি চালিয়ে যাবে। 

এসময় তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৪৯ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী লুবাইনা ফাইয়াজ বলেন, আমাদের ইনস্টিউটের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়কাল থেকে খুব গুরুতর একটা সমস্যায় আমরা ভুগছি সেটা হচ্ছে আমাদের ক্লাসরুম সংকট, জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে আমাদের প্রায় পুরো মাসই ক্লাস না করে হলে দিন কাটাতে হয়েছে, এই ক্লাসরুম সংকটের কারণে।  পাশাপাশি আমাদের ওয়াশরুম সহ আরো পারিপার্শ্বিক নানা বিষয়ে অন্য ডিপার্টমেন্টে গিয়ে ব্যবহার কার্য সম্পাদন করতে হয়, এরকম একটি সংকটময় পরিস্থিতিতে আমরা শিক্ষার্থীরা খুব দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাসনের কাছে আমাদের স্থায়ী আশ্রয় দাবি করছি এবং আশা রাখছি প্রশাসন আমাদের এই ন্যায্য দাবিতে আমাদের পাশে থাকবেন।

তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট ছাত্র সংসদের ভিপি সোহেল রানা বলেন, তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের দীর্ঘদিনের ক্লাসরুম সংকট এবং স্থায়ী ঠিকানার দাবীতে আমাদের এ-ই অবস্থান কর্মসূচি। আমরা ইতিপূর্বে মাননীয় উপাচার্য স্যারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি এবং গতকালও স্যারকে অবহিত করেছি যাতে আজকের সিন্ডিকেট মিটিং থেকে আমাদের ক্লাসরুম সংকটের বিষয়ে একটি ইতিবাচক স্বীদ্ধান্ত গ্রহণ করা হোক।

আমরা চাই অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে যে নতুন একাডেমিক ভবন করা হচ্ছে, যেখানে তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের জন্য স্থায়ী ক্লাসরুমের ব্যবস্থা এবং সেটি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাশেদুল আলম বলেন, আমরা তোমাদের দাবিতে একমত পোষণ করছি। আমরা দ্রুততম সময়ে এ বিষয় নিয়ে আলোচনাপূর্বক সিধান্ত নিবো।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট নামে চালু হওয়া এই ইন্সটিটিউটের ৮ বছর হয়ে গেলেও ক্লাসরুম সংকট কাটেনি। বর্তমানে ৭ টি ব্যাচের শিক্ষার্থী তাদের একাডেমিক পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।