জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষক বরখাস্ত

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৫, ০৮:০৬ এএম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষক বরখাস্ত

প্রতীকি ছবি

গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র- জনতার আন্দোলন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৮৯ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সাথে  হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিন বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়।

বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন- মোস্তফা ফিরোজ (সাবেক প্রো-  ভিসি শিক্ষা), মোহাম্মদ আলমগীর কবির, ইসরাফিল আহমেদ রঙ্গন, মেহেদী ইকবাল, বশির আহমেদ, আ স ম ফিরোজুল হাসান, হোসনে আরা, নাজমুল হাসান তালুকদার, মো. তাজউদ্দীন শিকদার।

বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৮৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া একটি অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে, যাদের ছাত্রত্ব শেষ তাদের সনদ স্থগিত করা হবে, যারা পরীক্ষা ও ভাইভা দিয়েছে তাদের ফলাফল স্থগিত করা হবে এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।

তিনি বলেন, আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তদন্তে আরও ১০ শিক্ষকের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তাদের হামলায় জড়ানোর মাত্রা বিচার বিশ্লেষণ ও বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটি তাদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবেন।

এদিকে, হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার আবু হাসান অবসরে চলে যাওয়ায় তাদের পেনশন সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের নামে থাকা চারটি স্থাপনার নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে। স্থাপনা গুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ রাসেল হল, শেখ হাসিনা হল ও বঙ্গমাতা বেগম  ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল। স্থাপনাগুলোর নতুন নামকরণের জন্য একটি স্ট্রাকচার কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া ১৫ জুলাই রাতকে জাবিতে কালোরাত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

আরবি/এসবি

Link copied!