ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১২৮ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদের প্রত্যেকেই ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত এবং হামলায় অংশগ্রহণ করেছে।
সবাই ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত হলেও আশ্চর্যজনকভাবে এই তালিকায় আসেনি ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের নাম।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। তালিকায় সৈকতের নাম না থাকায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা। বইছে তীব্র সমালোচনার ঝড়। শিক্ষার্থীদের মতে শুধু সৈকত নয়, তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন আরও একাধিক হামলাকারী।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ঢাবি শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম ফেসবুকে লিখেছেন, "সাময়িক বহিষ্কারের লিস্ট দেখে যা বুঝলাম তদন্তের দায়িত্ব পড়েছে হয়তো তানবির হাসান সৈকতেরই ওপর। তানবির হাসান সৈকতসহ হামলায় জড়িত তার কাছের সব নেতারই নাম তালিকা থেকে আউট।"
জারিফ আফরান লিখেছেন, "সরাসরি ফুটেজ থাকার পরেও অনেক হামলাকারী বাদ পড়েছে৷ অথচ অনেককে লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷"
মুসাদ্দেক আলী লিখেছেন, "জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেও অনেক সন্ত্রাসী বহিষ্কারের তালিকা থেকে বাদ পড়ে গেছে।"
শরিফুল ইসলাম লিখেছেন, "তালিকায় সৈকতের নামটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ খুঁজে পেলে আমাকে জানাবেন"
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন– বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের ইমন খান জীবনসহ ১২৭ জন শিক্ষার্থী।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রানিং শিক্ষার্থীর পাশাপাশি রয়েছেন কয়েক বছর আগে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করা শিক্ষার্থীরাও।
আপনার মতামত লিখুন :