ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা ও নৃশংস হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রান্ড ফ্লোরে এ মানববন্ধন করেন তারা।
এ সময় তারা ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড’, স্লোগান দিতে থাকে এবং তারা বিশ্ববাসীকে গাজার মানুষ পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আরব বিশ্বের ক্যান্সার হচ্ছে ইসরায়েল। যুদ্ধ বিরতি ভঙ্গ করে কোনো রাষ্ট্রে হামলা চালানো মানবতার সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ।
এই অবৈধ দখলদার ইসরয়েইলিরা অর্ধলক্ষ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে।
যাদের অধিকাংশই নারী ও কোমলমতি শিশু। কয়েক লাখ মানুষকে ঘরছাড়া করেছে। চিকিৎসা নেওয়ার জন্য একটি হাসপাতালও এখন অবশিষ্ট নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, যখন আমরা বিশ্বের অন্যান্য মুসলমানদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে রোজা পালন করছি, তখন আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের ওপর বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে, তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।
আমরা এতো বিশাল জনসংখ্যা মুসলিমদের মধ্যে গুটি কয়েক মুসলমান এই প্রতিবাদ করছি। অন্যদিকে আমাদের প্রতিবেশী মুসলিমদের রক্তদিয়ে হলি খেলা হচ্ছে।`
বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. হাফিজ আশরাফুল হক এ সময় তার বক্তব্যে বলেন, পুরা বিশ্বে ইসলাম মার খাচ্ছে, মুসলিম মার খাচ্ছে।
২০০ কোটি মুসলমান হয়েও আমরা ৮০ লাখ ইহুদিদের মোকাবেলা করতে পারছি না।
পুরা বিশ্বে বড় বড় দেশসহ জাতিসংঘ তারা ইসলামের বিপক্ষে। ইসলামকে তারা ধ্বংস করার জন্য তারা উঠে পড়ে লেগেছে।
তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন, ফিলিস্তিনিদের উপর এই গণহত্যা বন্ধের জন্য বিশ্বের সব পরাশক্তি দেশসহ জাতিসংঘের নিকট আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছোট্ট একটি পরিবার থেকে আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উন্মেষ রয় বলেন, পৃথিবীতে এমন একটা রাষ্ট্র আছে যেখানে মানবাধিকারের প্রশ্নই আসে না।
নারী শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়। তারা নিজের রাষ্ট্র বাহিনী দ্বারা আরেকটা জাতিসত্বার মানুষ আরেকটা ধর্মের মানুষকে তার নিজের ভূখন্ড থেকে বিতাড়িত করে মানুষদের হত্যা করে। যেখানে যুদ্ধের কোনো নিয়ম মানা হয় না।
গত শতাব্দীর শেষ পর্যায় থেকে এ পর্যন্ত এমন গণহত্যা আর কোথা হচ্ছে না।
আমাদের সবার উচিৎ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাড়ানো, ফিলিস্তিনিদের ভূখন্ডের পক্ষে দাড়ানো।