চট্টগ্রাম শহরের দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) গবেষণা টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াই্ইয়া আখতারের হাতে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে দিয়েছেন। প্রতিবেদনে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সুপারিশমালা উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি প্রণয়ন করা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ অভিপ্রায় ও নির্দেশনার আলোকে। ২০২৫ সালের ১১ জানুয়ারি চবি উপাচার্যের সঙ্গে তার অনুষ্ঠিত বৈঠকে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করার সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা হলে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের সমন্বয়ে এই গবেষণা টিম গঠন করা হয়।
প্রতিবেদন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- গবেষণা টিমের আহ্বায়ক ও চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল-আমীন, প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া, প্রফেসর মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী, প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন মজুমদার, প্রফেসর ড. মো. ইকবাল সরোয়ার, প্রফেসর ড. এন. এম. সাজ্জাদুল হক ও সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ।
গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার উৎস ও প্রকৃতি চিহ্নিত করে বহুমাত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমাধানমূলক সুপারিশ প্রদান।
এ জন্য গবেষণা টিম চারটি মূল খাত- (১) পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও ভূতত্ত্ব, (২) কারিগরি ও প্রকৌশল, (৩) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (৪) শাসন ও জনসচেতনতা- নির্ধারণ করে প্রতিটির ওপর ফোকাস গ্রুপ আলোচনার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে।
ফলাফলের ভিত্তিতে প্রণীত সুপারিশমালায় জলাবদ্ধতা নিরসনে তাৎক্ষণিক করণীয় থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদি নগর উন্নয়ন পরিকল্পনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, সুষ্ঠু বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত পদক্ষেপ।
প্রতিবেদন গ্রহণ করে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াই্ইয়া আখতার গবেষণা টিমের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের উদ্যোগের সঙ্গে একাত্ম হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষকদের আরও সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :