রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

রাবির ‘বি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৮২.৮২ শতাংশ

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৫, ০২:১৭ পিএম

রাবির ‘বি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৮২.৮২ শতাংশ

রাবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা, ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটভুক্ত ব্যবসায় শিক্ষা ও ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ ক্যাম্পাস ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রামসহ ৪ বিভাগীয় শহরে এ বছরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিটটির ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় ৮২ দশমিক ৮২ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক শিফটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ইউনিটে বরাদ্দ রয়েছে ৫৫৯টি আসন। বাণিজ্য শাখায় ৩৬৭টি, বিজ্ঞান শাখায় ১৬৬টি এবং মানবিক শাখায় রয়েছে মাত্র ২৬টি আসন। আসনগুলোর বিপরীতে আবেদন করেছেন ৪২ হাজার ৪৩৩ জন শিক্ষার্থী। আবেদনকারীদের মধ্যে মোট ৩৫ হাজার ১৪৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উপস্থিত হন। যা মোট পরীক্ষার্থীর ৮২ দশমিক ৮২ শতাংশ।

ভর্তি পরীক্ষায় রাবি কেন্দ্রে ১৩ হাজার ৬৩১ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৫ হাজার ৭৩০ জন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫ হাজার ৫৫৩ জন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ হাজার ১০ জন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ৫০৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ১০টার আগেই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কেন্দ্রে সামনে উপস্থিত হন। তাদের যাতায়াত যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করে ট্রাফিক পুলিশ, রোভার স্কাউট, বিএনসিসিসহ কয়েকটি সংগঠনের কয়েকশ কর্মী।

এ ছাড়াও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তথ্য সহায়তা, পানীয় বিতরণ, প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরিচ্ছন্নতায় কাজ করেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, শাখা ছাত্রদল, ছাত্র শিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন। পরে বেলা ১০টা বাজতেই ভবনগুলোর গেইট খুলে দেওয়া হয় এবং প্রক্রিয়া মেনে শিক্ষার্থীদের ভবনে প্রবেশ করানো হয়।

এ দিকে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ফটকের সামনে বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেস ব্রিফিং করেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।

তিনি বলেন, ‍‍এ বছরের ভর্তি পরীক্ষায় আমরা এখনও পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি। ভর্তি পরীক্ষায় রোভার স্কাউট, বিএনসিসিসহ কয়েকটি সংগঠন ও গণমাধ্যমকর্মী আমাদের সাহায্য করেছে।

ভর্তি পরীক্ষার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এবং ভর্তি পরীক্ষার সকল অনিয়ম ঠেকাতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, সকলের সার্বিক সহযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সবগুলো কেন্দ্রেই কোনো প্রকার প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

প্রথমবারের মতো বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা এ বছর প্রথমবারের মতো বিভাগীয় শহরগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমেছে।

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অভিভাবকরা বলেন, বিগত সময়গুলোতে রাজশাহীতে দূর-দূরান্ত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে আসতো। এতে আমরা রিকশা ভাড়ার দৌরাত্ম, হোটেল ও মেসগুলোতে ভাড়া বাণিজ্যের খবর পেতাম। তবে এ বছরে আমরা সকাল বেলা রওনা দিয়ে এসে পরীক্ষা শেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে আবার ফিরতে পারবো। এতে আমাদের ধারণার চেয়েও সুন্দরভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

পরীক্ষার সার্বিক বিষয়ে পরীক্ষা শেষ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপাচার্য নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! ছোটখাটো কিছু ঘটনা ছাড়া আজকের ভর্তি পরীক্ষা ঠিকমত শেষ হয়েছে। পরীক্ষায় সেচ্ছাসেবীরা যে আন্তরিক সেবা দিয়েছে তা দেখে মুগ্ধ। এ ছাড়াও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলো অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। কোনো শ্লোগান নেই, নেই কোনো হট্টগোল, নেই কোনো আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা। সকল সংগঠন সাধ্যমত ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অবিভাবকদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছে। আমি এটাই দেখতে চাই।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!