নানা আয়োজনে জাঁকজমক পূর্ণভাবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আয়োজিত হয়েছে দুদিন ব্যাপী জাতীয় কংক্রিট উৎসব।
শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও গবেষনায় উদ্ধুদ্ধ করার লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন প্রতিযোগীতার।
উৎসবমুখর পরিবেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা এসব প্রতিযোগীতায় অংশ নেন।
যার মধ্যে প্রথম দিনের বিভিন্ন সেগমেন্টের অন্যতম ছিল ট্রাস তৈরি, যেখানে আইসস্ক্রিমের কাঠি দিয়ে বিভিন্ন মডেল তৈরি করেছেন প্রতিযোগিরা।
কেউ বানিয়েছেন সেতুর কাঠামো, কেউ ভবনের। যার মডেল বেশি ওজন নিতে পারবে সেইই বিজয়ী।
বিশ্বজুড়ে পুরকৌশলীদের একটি আন্তর্জাতিক পেশাজীবী সংগঠন আমেরিকান কংক্রিট ইন্সটিটিউট(এসি আই), যার চুয়েট শাখা প্রতিবছরই ব্যতিক্রমধর্মী বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে থাকে।
তেমনি এবছর এ সংগঠন আয়োজন করেছে জাতীয় কংক্রিট উৎসব।
উক্ত আয়োজনে গেম অব ট্রাস ছাড়াও রয়েছে মর্টার ওয়ার্কেবিলিটি কম্পিটিশন, যেখানে সিমেন্ট, বালু ও পানির মিশ্রণে শিক্ষার্থীরা তৈরি করবেন মর্টার যা মসলা নামে পরিচিত, দেয়াল নির্মাণে অত্যাবশ্যকীয় উপাদান।
এছাড়া এ উৎসবে ছিল কনক্রিট সল্যিউশন প্রতিযোগিতা, আর্টিকেল রাইটিং প্রতিযোগিতা ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা।
বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ীদের জন্যে এসিআই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার চুয়েটের পক্ষ থেকে ছিল প্রায় ১ লক্ষ টাকার নগদ অর্থ পুরষ্কার।
এ ব্যাপারে অংশগ্রহণকারী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সম্প্রীতি দাস রুপালী বাংলাদেশকে কে বলেন, প্রথমবারের মত এ উৎসবে যোগ দিয়ে ট্রাস প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়েছিলাম।
প্রথম অংশগ্রহণ হিসেবে এ আমাদের কাছে খুবই ভালো লেগেছে। পরবর্তী পেশাগত জীবনে ও গবেষণায় এটি খুবই কাজে দিবে।
একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী নাফিস ইমতিয়াজ জানান, এমন আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। এখানকার পরিবেশটাও ভালো।
দুটো সেগমেন্টে অংশ নিয়েছিলাম। অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আশা করি সামনের দিনগুলোতেও এমন আয়োজন গুলোতে অংশগ্রহণ করে আরো অনেক কিছু শিখতে পারব।
এই আয়োজন সম্পর্কে এসিআই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার, চুয়েটের সভাপতি জোহায়ের মাহতাব বলেন, চুয়েটে ২য় বারের মতো আয়োজিত হলো জাতীয় কনক্রিট উৎসব।
তাই আমরা সবাই অনেক বেশি খুশি ও উৎসাহী ছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের কার্যক্রম অত্যন্ত সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
আমরা আশা করি আমাদের এমন আয়োজন সমূহের মাধ্যমে দেশের শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও সমস্যা সমাধানধর্মী কাজে আরো উৎসাহ পাবে।
আয়োজক সংগঠনের অনুষদ উপদেষ্টা পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জিএম সাদিকুল ইসলাম জানান, এ সংগঠনের যাত্রার শুরু থেকে আমরা নিয়মিতই বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছি।
আমেরিকায় যে প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়, অনুরুপভাবে সেরকমই কিছু কার্যক্রম আমাদের সংগঠন থেকে জাতীয় পর্যায়ে আয়োজন করার ব্যবস্থা করা হয়।
যেমন মর্টারের কম্পিটিশনটা বাংলাদেশে কোথাও হয় নি, কিন্তু আমরা এখানে সেটা করছি। এছাড়া ট্রাস ও কংক্রিট সলিউশন ও করা হচ্ছে।
আমি মনে করি এগুলো শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও আগ্রহ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, এসিআইয়ের এই উৎসবের স্পন্সর হিসেবে থাকছে হলিসিম, কনসোল ও এসিআই লিমিটেড।
আপনার মতামত লিখুন :