যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষক ড. সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে এবার জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে এ মামলা করা হয়।
সুজন এর আগে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকা, নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি, জুলাই অভ্যুত্থাানের বিরোধিতাসহ বিভিন্ন ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ার পরও শাস্তি পাননি বলে অভিযোগ আছে।
উপযুক্ত শাস্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ধর্ষণের শিকার হওয়া সেই নারী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে এ অভিযোগ করেন।
আবেদনপত্রে তিনি লেখেন, গত বছরের ২২ অক্টোবর ভুক্তভোগীকে বাসায় একাধিকবার ধর্ষণ করেন ড. সুজন চৌধুরী।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আদালতের শরণাপন্ন হতে বলেন।
পরে তিনি চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুজন চৌধুরীকে কয়েক দফায় ডাকা হলেও তিনি বিভিন্ন তাল বাহানায় বিষয়টি এড়িয়ে যান। ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন সময় নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন।
এ ব্যাপারে জানতে ভুক্তভোগীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ড. সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছি। যথাযথ বিচার চাই।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে ড. সুজন চৌধুরী বলেন, আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা দাবি করছেন ওই নারী।
ব্ল্যাকমেইল করে টাকা দাবি করার বিষয়ে ওই নারীকে প্রশ্ন কারা হলে তিনি বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি যদি তাকে ব্ল্যাকমেইল করে থাকি, তাহলে ড. সুজন চৌধুরী সেটা প্রমাণ করুক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ আসছে। আমি সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
মামলার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী ও পিবিআই কর্মকর্তা এসআই তালেব বলেন, আমি এ মামলার বিষয়ে তদন্ত করছি। যেহেতু ধর্ষণের মামলা, তাই মেডিকেল রিপোর্ট প্রয়োজন। মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত জানাতে পারব।
আপনার মতামত লিখুন :