রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ‘যৌন নিপীড়ক’ শিক্ষকদের প্রতীকী জুতার মালা পড়িয়ে কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্ণচূড়া সড়কে কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তারা।
এ সময় কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রহমান আলী বলেন, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে সেল থাকা উচিত। আমরা কয়েক দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় যৌন হয়রানির অনেক বিষয় দেখেছি। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।’
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দাবি একটাই, এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে যেন এমন শাস্তি দেওয়া হয়, যাতে ভবিষ্যতে অন্য কেউ এ ধরনের ন্যক্কারজনক কাজ করতে না পারে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ পেয়েছি। এ জন্য তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে।’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, ‘যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে সেল গঠন করা হয়েছে। সেখানে যে কেউ অভিযোগ দিতে পারবে। আর পরিসংখ্যান বিভাগের যে অভিযোগপত্র এসেছে, সেটির জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
উল্লেখ, গত ১৩ এপ্রিল রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. তানজিউল ইসলাম জীবন ও একই বিভাগের এক ছাত্রীর কণ্ঠ সদৃশ কথোপকথনের ৩টি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়।
অন্যদিকে, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পেজ এবং গ্রুপে শিক্ষক রশীদুল ইসলাম ও ওই ছাত্রীর মেসেঞ্জারে কথোপকথনের স্ক্রিনশটগুলো প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র সিংহ এবং অধ্যাপক ড.মো. রশীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগ তুলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলীর কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।