সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আক্ষেপ প্রকাশ করে শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য একটি পোস্ট দিয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) এক শিক্ষার্থী।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে ‘শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য খোলা চিঠি’ শিরোনামে আবদুল্লাহ আল সৈকত নামে ওই শিক্ষার্থী পোস্ট দেন।
কুয়েট শিক্ষার্থীর স্ট্যাটাসটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো—
‘শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য খোলা চিঠি, আমার বাবা ছিলেন কৃষকের সন্তান। ২৫ বছর ধরে প্রবাসে থেকে এই দেশকে রেমিট্যান্স পাঠায়ে যাচ্ছেন। আমি বেঁচে থাকলে এক্সটেন্ডেড ফ্যামিলির ফার্স্ট গ্র্যাজুয়েট হব, আর আমাদের গ্রামের ফার্স্ট ইঞ্জিনিয়ার।
ঢাবি-বুয়েটে চান্স পেয়েও অনেকের মতো কুয়েটে আসছি ইলেকট্রিক্যাল পড়তে, রিসার্চার হব বলে। স্বপ্ন ছিল দেশের বাইরে ভালো ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করব।
সেই অনুযায়ী তিন বছর ধরে একটা ভালো সিজিপিএ মেইনটেইন করে আসতেসি, অনেক রিসার্চ প্রজেক্টে যুক্ত হইসি, একটা পেপার রিভিউতে দিসি। শুধু আমি না, আমার সঙ্গে টিচার ক্যান্ডিডেট ফ্রেন্ডও এই আমরন অনশনে বসতেসে, ক্যারিয়ার ও জীবন শেষের রিস্ক নিয়ে। আমাদের সব বোধহয় শেষ।
মরে গেলে আমার আফসোস নাই, জুলুমের বিপক্ষে ছিলাম আজীবন। একদিনের জন্যও জীবনে কম্প্রোমাইজড হই নাই। খালি মারা গেলে আমার ফ্যামিলিটাকে কেউ দেখে রাইখেন।
আমার ছোট দুইটা ভাইবোন আছে৷ ওদের জন্য কিছু করতে পারি নাই জীবনে, এটাই আফসোস রয়ে যাবে হয়তো। আম্মু আর জাবিনকে কেউ একটু বুঝায়ে শুনায়ে রাইখেন।’
শেষে অপ্রেসরদের প্রতি তিনি হিন্দিতে কিছু কথা লিখেছেন, তা বাংলায় তুলে ধরা হলো-
তুম জমিন পে জুলম লিখ দো, আসমান পে ইনকিলাব লিখা যায়েগা, সব ইয়াদ রাখা যায়েগা, সব কুছ ইয়াদ রাখা যায়েগা... বিদায়।