আনন্দমুখর পরিবেশে ও বর্ণিল সাজে উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘বৈশাখী পার্বণ ১৪৩২’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস অব স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্স-এর উদ্যোগে দিনব্যাপী এ উৎসবে ছিলো নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, বাঙালি খাবার, বৈচিত্র্যময় স্টল, বাংলার লোকজ ও সাজসজ্জার উপকরণ। এতে ফুটে ওঠে বাঙালির সংস্কৃতির রঙ ও সৌন্দর্য।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ইউনিভার্সিটির এনেক্স ভবনের সামনে খেলার মাঠে এই উৎসবে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌর গোবিন্দ গোস্বামী। রঙিন ও ঐতিহ্যবাহী সাজসজ্জায়, আনন্দঘন পরিবেশে মেতে উঠেছিল পুরো ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণ।
ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বাহারি ধরণের স্টল স্থাপন করেন। সেখানে ঐতিহ্যবাহী পণ্যের প্রদর্শনীর পাশাপাশি শোভা পায় বৈশাখী মিষ্টি-মন্ডা, বাতাসা, মুড়ি, চিড়া ও মোয়া ইত্যাদি।
বাঙালি জীবনধারার নানা দিক তুলে ধরতেই এবারের আয়োজনে ছিলো নাগরদোলা ও বায়োস্কোপ। গ্রামীণ পরিবেশে সাজানো হয় প্রবেশপথ ও রং তুলির আঁচড়ে সেজেছে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দেয়াল। উৎসবের প্রথম পর্বে ফ্ল্যাশ মব অনুষ্ঠিত হয় এবং দ্বিতীয় পর্বে উত্তরা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত নৃত্য, গান, আবৃত্তি ও অভিনয় উপভোগ করেন উপস্থিত সকলে।
উপাচার্য ড. ইয়াসমীন আরা বলেন, বৈশাখের এই আয়োজন কেবল একটি অনুষ্ঠান নয় বরং এটা আমাদের শেকড়কে ছুঁয়ে দেখার মূল উপলক্ষ। যেখানে জড়িত থাকে বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। অনুষ্ঠান আয়োজকরা জানান, এই উৎসব ছিল শুধুমাত্র আনন্দের নয় বরং একতা, সৃজনশীলতা ও সংস্কৃতির মিলনমেলা।
দিবসটির অন্যতম আকর্ষণ ছিল ব্যান্ড সংগীত পরিবেশন করেন ব্যান্ড দল ‘আকাশ গায়েন’। নবর্বষের অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রক্টর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন স্টুডেন্ট ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল দর্শক প্রাণভরে উপভোগ করেন উৎসবের রঙিন আমেজ। অনুষ্ঠানের স্পন্সর হিসেবে ছিলো এক্সিম ব্যাংক ও কো-স্পন্সর হিসেবে ছিলো হক কনসালটেন্সি।