ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর, ২০২৪

মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির দবিতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম

মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির দবিতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম

ছবি, রূপালী বাংলাদেশ

ঢাবি: সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে করা সকল মাললা প্রত্যাহার ও অনতিবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির জন্য ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ নামে একটি সংগঠন। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি তুলেন বক্তারা।

সাংবাদিক নামের দালাললরা যখন সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে একজন মাহমুদুর রহমান তখন বীরদর্পে দেশে প্রবেশ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী।

তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান প্রথম ব্যাক্তি যিনি শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বলে প্রথমে কলাম লিখেছিলেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম আইকন বেগম খালেদা জিয়ার কথা বললে অনেক শাহবাগীদের বুকে আগুন জ্বলে। আর সেই খালেদা জিয়ার পর কোন ফ্যাসিবাদবিরোধী একক ব্যক্তিত্ব সংগ্রামী মাহমুমুদর রহমান। ৬৫ বছর বয়সে একটানা ৩৯ দিন রিমান্ডে ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে শত শত মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, অনেকে বলছেন মাহামুদুর রহমান কেন আদালতে জামিন চান নাই? এই প্রশ্নের জবাবে বলব, রাজনৈতিক প্রশ্নে যারা আইন নিয়ে আসে তাদের মতো আর কোন বেকুব নাই। ফেসিস্টদের আইন ভঙ্গের উপর আর কোন আইন নাই। ২৪‍‍`র আন্দোলন কোন আইনের ভিত্তিতে করেছেন? মাহমুদুর রহমানের সাথে আমরা দেখা করেছি। তিনি বলেছেন অবৈধ সুবিধা নিলে ফ্যাসিস্ট সরকার তার পরিবার ব্যবসা ধ্বংস করে দিতো না এবং তিনি ছাত্র জনতার এই সরকারের কাছ থেকেও নিবেন না বলে জানিয়েছেন। সরকার যেই মামলা করে সেই মামলা তুলে নিতে সরকারের এক মিনিট সময়ও লাগে না। তাই আমরা চাই আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আইন উপদেষ্টা নিজে উদ্যোগ নিয়ে যতগুলো মামালা তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে সবগুলো বাতিল করে এবং শেখ হাসিনার ক্যাঙ্গারু আদালত যতগুলো রায় দিয়েছে সবগুলো বাতিল করা হোক। নয়তো আইন উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানান হাদী।

আমার দেশ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক জায়েদ চৌধুরী বলেন, স্বৈরাচাররের বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমান সবসময় স্বেচ্ছার এবং আইন মান্যকারী একজন ব্যক্তি। আমার দেশ পত্রিকা প্রকাশ করতে দেশে ফিরে এসেছেন।  কিন্তু হাসিনার মিথ্যা মামলার কারণে আবার তাকে জেলে পাঠানো হয়। তিনি আইন মান্য করে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।  কিন্তু আদালত তাকে মুক্তি না দিয়ে জেলে পাঠায়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর যেখানে অনেক সাধারণ মানুষ নিঃশর্ত মুক্তি পাচ্ছে। স্বৈরাচারমুক্ত বাংলায় এটা কাম্য নয়।

তিনি বলেন, আমরা সাংবাদিক সমাজ ৪৮ ঘন্টা সময় দিলাম সরকারকে। তাকে না ছাড়া হলে আন্দোলনের মাধ্যমে আমার মুক্ত করবো তাকে।

এছাড়া মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মুজাহিদ ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ মনিরুজ্জামান, ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য ও ঢাবি শিক্ষার্থী ফাতিমা তাসনিম ঝুমা, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ।

 

আরবি/এস

Link copied!