যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) এন্টি ড্রাগ সোসাইটির উদ্যোগে নবীন বরণ ও মাদকবিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) দ্বিতীয় তলায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এন্টি ড্রাগ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আল আরমানের সঞ্চালনায় ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুমন আলির সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. মীর মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আমজাদ হোসেন ড. ইঞ্জি. এবং আইসিটি সেলের পরিচালক ড. মো. ফরহাদ বুলবুল এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক মো: আসলাম হোসেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোর এর উপপরিচালক মো: আসলাম হোসেন শিক্ষার্থীদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক দিকনির্দেশনা দেন এবং মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দেন।যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মাদক বিষয়ে সচেতন হওয়া ও নিয়ন্ত্রণ বিষয় জ্ঞান লাভ করে।
আইসিটি সেলের পরিচালক ড. মো. ফরহাদ বুলবুল বলেন, একটি জাতিকে ধ্বংস করতে মাদকই যথেষ্ট। মাদক শরীর, মন, এবং ভবিষ্যতকে ধ্বংস করে। আমরা নিজেদের মাদকমুক্ত রাখব এবং যারা আসক্ত, তাদেরও এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনব। সব ধর্মেই মাদককে হারাম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই আমাদের উচিত মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন বলেন, যবিপ্রবিতে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। কেউ যদি মাদকসহ ধরা পড়ে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদক শুধু ব্যক্তিগত জীবন নয়, পুরো পরিবার এবং সমাজকেও ধ্বংস করে। নবীনদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে মাদকের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার থাকুন এবং অন্যদেরও সচেতন করুন।
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. মীর মোশাররফ হোসেন বলেন, মাদক চোরাচালানের কারণে প্রতিবছর আমাদের দেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে যায়, যা দেশের রাজস্বের বড় ক্ষতি করে। যারা ধূমপান করেন, তাদের অনেকে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। আমাদের সচেতন হতে হবে, যাতে কোনোভাবেই মাদক আমাদের যুবসমাজকে ধ্বংস করতে না পারে। বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদকমুক্ত রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং নবীনদের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদকমুক্ত রাখতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই মাদকবিরোধী এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং মাদকমুক্ত একটি সমাজ গঠনে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।
আপনার মতামত লিখুন :