ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

জাবিতে ব্রেস্ট ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম

জাবিতে ব্রেস্ট ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার

ছবি, রূপালী বাংলাদেশ

জাবি: ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) র‍্যালি ও দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের আয়োজনে সচেতনতামূলক র‍্যালিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে একটি সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। "No one Should Face Breast Cancer Alone" শীর্ষক এ সেমিনারে বক্তারা ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সকলের সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন৷ ব্রেস্ট ক্যান্সার দ্রুত শনাক্ত করা ও পরিপূর্ণ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সামাজিক ট্যাবু ভেঙ্গে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। দুপুর ১২ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে দিনব্যাপী ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং ও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যান্সার হাসপাতালের প্রকল্প সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, আমাদের দেশে হাসপাতাল ভিত্তিক ব্যবস্থায় ক্যান্সার ভিত্তিক গবেষণা খুবই অপ্রতুল ছিল। হাসপাতালভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রি থেকে জনগণের ক্যান্সার আক্রান্তের হার নির্ণয় করা যায় না। আমাদের পপুলেশন বেইসড ক্যান্সার রেজিস্ট্রার প্রয়োজন। আমাদের নীতিনির্ধারকরা এটা এখনো করতে পারেননি। যত বেশি রেড মিট খাবেন, বডি সারফেস এরিয়া যত বাড়বে, ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি তত বাড়বে। অতি মাত্রায় ফাস্টফুড গ্রহণ ব্রেস্ট ক্যান্সারসহ কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়৷ লো ফাইভার খাবার গ্রহণ, কায়িক পরিশম না করলে এর ঝুঁকি বাড়ে৷ একজন নারী প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটলে তার ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি ৫% কমে আসে। এলকোহল, ধুমপান এ ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া ব্রেস্ট ফিডিং না করলে মায়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াবে। ২০-৬০ বছর বয়সে প্রতি মাসে একবার চেক করতে হবে৷ সচেতনতা এখানে সবচেয়ে জরুরি, সঠিক সময়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ব্রেস্ট ক্যান্সার বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে  খুব বেশি আলোচিত হয়েছে। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এর প্রাদুর্ভাব কমিয়ে আনা যায়। এর সঠিক প্রচার করতে পারলে, নারী সহধর্মিণী ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে আমরা এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবো বলে আশা রাখি।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মাহফুজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম, আইইডিসিআর-এর  উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন, পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সভাপতি ড. মাহফুজা মোবারক ও বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

আরবি/এস

Link copied!