ঢাকা সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫

‘ছাত্রদল কর্মী’র বিরুদ্ধে জবি শিক্ষার্থীদের অনশনে উসকানির অভিযোগ

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৫, ১১:৫৪ এএম

‘ছাত্রদল কর্মী’র বিরুদ্ধে জবি শিক্ষার্থীদের অনশনে উসকানির অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির অনশনে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের একজন কর্মীর বিরুদ্ধে। রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীদের অনশনস্থলে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ওই ছাত্রদল কর্মীর নাম মো. আরিফুজ্জামান টিংকু। তিনি দর্শন বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জবি শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার অনুসারী।

জানা যায়, রবিবার রাত ১০টার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের প্রায় ১৪ জন অসুস্থ হয়ে মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে বাস্তবায়নের রোডম্যাপ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

এসময় হঠাৎই হ্যান্ডমাইক দিয়ে আরিফুজ্জামান নামে ওই ছাত্রদল কর্মী শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে ঘোষণা করেন, আপনারা যারা অনশন করতে চান, সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেন। যতক্ষণ দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ আমরা এবার অনশন চালিয়ে যাবো।’

পরে অনশনকারীরা তার পরিচয় জানতে চান। এ সময় বাংলা বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলকর্মী সাগর ও আশরাফুল পরিচয় জানতে চাওয়া তৌসিব মাহমুদ সোহানের ওপর তেড়ে আসেন। পরে অভিযুক্তদের প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। 

নাম পরিচয় জিজ্ঞেস করলে ওই ছাত্রদল কর্মী বলেন, আমি আরিফুজ্জামান। আমি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার রাজনীতি করি। তবে জবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার বলেন, আমরা তাকে চিনি না। 

কোন কারণে কেন তিনি এমন ঘোষণা দিয়েছেন জানতে চাইলে অভিযুক্ত টিংকু বলেন, আমাকে কয়েকজন এই ঘোষণা দিতে বলেছে। তাই আমি এই ঘোষণা দিয়েছি। পরবর্তীতে প্রক্টর অফিসে টিংকুর মোবাইলে শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে আন্দোলনে কথোপকথনের বার্তা দেখা যায়। প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসার খবর পাওয়া মাত্রই টিংকু-কে গ্রুপ থেকে রিমোভ করে দেন সুজন মোল্লা।   

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, এত অসুস্থ হওয়া শিক্ষার্থী ও দাবি মেনে নেওয়ার পর তিনি কেন এখানে আসলেন, সবই সন্দেহজনক। তার বিরুদ্ধে তদন্ত পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরবি/জেআই

Link copied!