রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক ১ম বর্ষে ভর্তিতে পোষ্য কোটার হার পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১% কোটা রাখা হয়েছে। তবে এ কোটায় শিক্ষক-কর্মকর্তার সন্তানদের ভর্তির সুজগ বাতিল করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ভর্তি কমিটির জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
তবে কোটা পুনঃনির্ধারণের পরও মানছেন না কোটা বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ১% কোটা নয় শুধু আমরা কোটার ০.১% ও চাই না। কোটা থাকবে না মানে থাকবে না। প্রয়োজনে তাদের শিক্ষা ভাতা দেওয়া হোক। আমরা দ্রুতই আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ জানিয়ে দেব। আমরা কোনোভাবেই এই বৈষম্য ও অযৌক্তিক কোটা মেনে নিতে পারিনা।
আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী আমান উল্লাহ খান বলেন, দেশের আর্থসামাজিক ব্যবস্থায় যেখানে দেশের প্রায় চার কোটির উপরে জনসংখ্যা দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে সে দিক থেকে দারিদ্র্যতার বিবেচনায় এবং নৈতিক দিক থেকে কর্মচারী বা সহায়ক কর্মচারী কারোর জন্যই কোটা রাখা উচিত না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা জানিয়েছি সব ধরনের কোটা এবং সবার জন্য কোটা বাতিল করতে হবে।
কোটা পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, আজকে আমাদের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদ্যমান যে কোটা ছিল সেটি আর থাকছে না। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য ১% রাখা হয়েছে এ বছরের জন্য। পিছিয়ে পড়া এসব কর্মচারীদের কথা বিবেচনায় এটি রাখা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাপে কোটা পুনঃনির্ধারণের সিদ্ধান্ত আসেনি উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, চাপ আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো ন্যায্যতা ও যুক্তি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জন্মের অন্তত ১০ বছর আগে থেকেই আমরা বলছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তাদের সন্তানদের এই কোটার কোন যৌক্তিকতা নেই। কোটা পুনঃনির্ধারণের পরও কেউ যদি না মানে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা অনেক ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন :