জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৫৩ তম আবর্তনের নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত পুরো ক্যাম্পাস। আর এই ছোঁয়া লেগেছে ক্যাম্পাসের প্রতিটি হলে। গত ২১শে জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ছাত্র আন্দোলনের কারণে তা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি।
শনিবার (১৯শে জুলাই) সালাম বরকত হলের সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রাধাক্ষ্য ও উপ উপাচার্য (শিক্ষা) উপস্থিতিতে নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুল এবং মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। এসময় উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে নবাগত শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে।
নবীনবরণ শেষে ৫৩ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী তাসরীফ বলেন, আজকে আমার অনেক ভালো লাগছে। আমাদের হল প্রোভোস্ট স্যার এবং সিনিয়ার ভাইরা আমাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করেছে যেটা আমরা ভাবিনি। সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এত সুন্দর আয়োজন করার জন্য।
এছাড়াও একই আবর্তনের মাহির বলেন, আজকে আমাদের হলের প্রোভোস্ট স্যার এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেক আন্তরিক ছিল এবং আমাদেরকে অনেক সাহায্য করেছে আমাদের রুম দেয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র পেয়েছি। এজন্য আমরা অনেক খুশি।
এ বিষয়ে হল প্রাধাক্ষ্য আব্দুল হালিম জানান আমরা শুরু থেকে চেষ্টা করেছি ৫৩ তম আবর্তনের সকল শিক্ষার্থীকে একটি করে সিট নিশ্চিত করার। আলহামদুলিল্লাহ আমরা সেটা করতে পেরেছি। আমরা আমাদের হলের ৭৪ জন শিক্ষার্থীর সিট নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের রুমের সকল প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এর পর থেকে আর গেস্টরুম কালচার আর থাকবে না। আমরা চাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় একটি বৈষম্যহীন ও সৌহার্দপূর্ণ ক্যাম্পাস হিসেবে রোল মডেল হোক।
এছাড়াও উপ উপাচার্য (শিক্ষা) উপস্থিত থেকে সবার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে আমরা বিভিন্ন দায়িত্ব পেয়েছি। তাদের জন্য শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরই মধ্যে গণরুম বিলুপ্ত করে র্যাগিং ও মাদক নির্মূলে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশা করছি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :