ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

ইবির বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায়

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম

ইবির বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায়

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বগুড়া জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‍‍`বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি‍‍`র নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের উপহার সামগ্রী দিয়ে বরণ ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদান করে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন সংলগ্ন মাঠে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন করে বগুড়ার শিক্ষার্থীরা।

আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মোত্তালিবের সভাপতিত্বে এবং আলী আরমান রকি ও ফারিহা ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম মতিনুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক রুহুল আমিন, ইবির প্রকৌশল অফিসের তত্ত্বাবধায়ক (মেকা:) মোঃ আবদুল মালেক মিয়া। এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বগুড়া জেলার আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের সভাপতি সাজ্জাদুজ্জামান সিরাজ জয়, সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হিরা সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

বিশেষ অতিথিরা বলেন, একটা সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে বগুড়া জেলা সমিতির সক্রিয়তা কমে গিয়েছিল। তবে এখন সময় এসেছে নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরার। বিগত সরকারের অধীনে আমাদের বগুড়া অবহেলিত ছিলো। সেখান থেকে উত্তরণের সময় এসেছে। যদি সচেতন থাকো দেশ ও জাতির জন্য ভালো কিছু উপহার দিতে পারবে। আর যদি চাকচিক্যময় ক্যাম্পাসে নিজেকে বিলিয়ে দাও তাহলে উঠে আসা কঠিন হয়ে যাবে।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মতিনুর রহমান বলেন, অন্যান্য জেলার চেয়ে বগুড়া জেলার সন্তানদের কেমন যেন দূরত্ব রয়েছে। এমন সংস্কৃতি লালন করলে বেশি দূর যাওয়া সম্ভব না। একসাথে থাকার কারণটাই হচ্ছে নেটওয়ার্কিং বাড়ানো এবং চাকরির বাজারে গিয়ে একে অপরের সহযোগিতা নেওয়া। আমাদের জেলার শিক্ষার্থীদের এইক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। আমি বলবো বিগত সরকারের আমল থেকে বের হয়ে নতুন করে উপস্থিতি জানান দেওয়া সময় এসেছে। সর্বোপরি পড়াশোনা ঠিক রেখে স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা রাখি।

আরবি/জেডআর

Link copied!