রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষক ও সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের চেম্বার এবং লকার থেকে ফলাফল আটকে থাকা পরিক্ষার নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং মতিহার থানা পুলিশের উপস্থিতিতে এসব নথি উদ্ধার করা হয়। নথি উদ্ধারের পর বিভাগ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের কথা জানানো হলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, লকার এবং চেম্বারের তালা ভাঙার পর সেখান থেকে মাস্টার্সের নন থিসিসের মৌখিক পরিক্ষার ৩৮ জনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এছাড়া সান্ধ্যকালীন কোর্সের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গেছে। তবে মাস্টার্রসের ৩ জন থিসিসের মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হোসেন বকুল বলেন, পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশের তথ্য উদ্ধারের জন্য প্রশাসন থেকে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছিল। সেই কমিটির নির্দেশে প্রক্টরিয়াল বডি এবং মতিহার থানার পুলিশের উপস্থিতে তার লকার এবং চেম্বারের তালা ভাঙা হয়। সেখান থেকে মাস্টারসের নন- থিসিসের ভাইবার ফলাফল পাওয়া গেছে এবং তার চেম্বার থেকে সন্ধ্যাকালীন কোর্সের কিছু নথিপত্র পাওয়া গেছে। আশা করি জব্দকৃত তথ্য দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে পারব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যে দায়িত্ব, সে দায়িত্ব থেকে পরীক্ষার নম্বরপত্র দিনের পর দিন আটকে রেখে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। তাই আজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা তার(মুসতাক) লকার ভেঙে প্রয়োজনীয় যে কাগজপত্র সেগুলো বের করেছি। বাকি কাগজপত্র নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে তার লকার সিলগালা করে রাখা হয়েছ।
পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মাস পরও আমাদের ফলাফল প্রকাশ না হলে আমরা গতকাল বিভাগে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করি। আমাদের সাবেক সভাপতি ও অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতার জন্য ফলাফল আটকে আছে বলে আমাদের জানানো হয়েছিল। তবে আজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে সাবেক সভাপতি মুসতাক আহমেদের ব্যক্তিগত চেম্বার থেকে আমাদের পরীক্ষার নথি উদ্ধার করা হয়েছে এবং বিভাগ থেকে আমাদের রবিবার/ সোমবার ফলাফল প্রকাশের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। যেহেতু আমাদের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে, তাই আমরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যহার করলাম।
এর আগে, গতকাল বুধবার ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মাস পরেও ফলাফল না পাওয়ায় বিভাগে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার নথিপত্র উদ্ধারের আগ পর্যন্ত বিভাগে তালা ঝুলিয়ে রেখেছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আপনার মতামত লিখুন :