ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সাংগঠনিক কর্মশালা

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৪, ০৮:৩৬ পিএম

ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সাংগঠনিক কর্মশালা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঐক্য, শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাংগঠনিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি করিডোরে শোক প্রস্তাব, জাতীয় সংগীত, দলীয় সংগীত ও র‍্যালির মধ্য দিয়ে এই সাংগঠনিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুর আলমের উপস্থাপনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বশির আহমেদ, রাবি সংসদের সাবেক সভাপতি এস এম চন্দন ও সাবেক সদস্য স্বপন বাগচী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক ও ইবি সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম সুইট।

আলোচক বশির আহমেদ বলেন, ছাত্ররাজনীতি ছাড়া ছাত্রসংসদ সম্ভব নয়। ছাত্ররাজনীতিতে ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে পারে তবে সেটা কোচিং সেন্টার, একটা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রাজনীতি ছাড়া চলতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে কোচিং সেন্টারে পরিণত করেছে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা। ক্যাম্পাসটা যে গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস হওয়া প্রয়োজন, তা অনেক শিক্ষার্থী ই ভাবে না। আমরা মনে করি চাকরি পাওয়ার জন্য, জীবিকা নির্বাহের জন্য পড়াশোনা দরকার কিন্তু আদতে উপার্জনের জন্য পড়াশোনার দরকার হয় না। আমরা পড়ালেখা করি সমাজ পরিবর্তনের জন্য, এই ভাবনাটা আপনাদের ছাত্রদের মাথায় দিতে হবে। শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানুষের টাকার পেছনে ছোটা বন্ধ করা। নইলে ‍‍`হেট পলিটিক্স‍‍` জেনারেশনে আপনারা টিকে থাকতে পারবেন না।ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে আলোচনায় রাবি সংসদের সাবেক সভাপতি এস এম চন্দন বলেন, ছাত্র ইউনিয়ন সম্পর্কে জানার আগে ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে জানতে হবে। ছাত্ররাজনীতি করলে মানুষের সাথে মিশতে পারবেন, মিছিল স্লোগান দিতে পারবেন, সর্বোপরি কথা বলা শিখতে পারবেন। ছাত্র ইউনিয়নের পরিচয় দেশের কৃষক, শ্রমিক জনতার মাঝে একটা আলাদা গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শুধুমাত্র কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের একটা নিজস্ব গেরিলা বাহিনী ছিল, অর্থাৎ বাংলাদেশের ইতিহাস মানে ছাত্র ইউনিয়নের ইতিহাস।

তিনি আরো বলেন, ছাত্র ইউনিয়ন করলে আপনাকে প্রতিটি পেশার মানুষকে সম্মান জানাতে হবে। যেকোন বিষয়ে আপনাকে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে, বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা করতে হবে, যুক্তি দিয়ে ভাবতে হবে। আপনাকে লেখাপড়া শেখাতে একজন ভিক্ষুক, দিনমজুর, শ্রমিক থেকে শুরু করে সবারই অবদান রয়েছে। ছাত্র ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক মেহনতী মানুষের পক্ষে একটা শোষণহীন, বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা ও রাষ্ট্র চায়। আমরা সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও মেহনতী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা রাজনৈতিকভাবে কমিউনিস্ট পার্টিকে সমর্থন করি কিন্তু আমাদের কমিটি কমিউনিস্ট পার্টি ঠিক করে দেয়, এটা ভূল। ছাত্র ইউনিয়ন করার পরে আপনারা চাইলে রাজনীতি নাও করতে পারেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!