ঢাকা বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

অধিভূক্ত ৭ কলেজ বাতিলের প্রস্তাব ঢাবি শিক্ষক সমাজের

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম

অধিভূক্ত ৭ কলেজ বাতিলের প্রস্তাব ঢাবি শিক্ষক সমাজের

ছবি, সংগৃহীত

ঢাবি: ক্যাম্পাসের স্থান ও জনসংখ্যার বিকেন্দ্রিকরণের জন্য পূর্বাচলে বরাদ্দকৃত ৫০ একর জমিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  একটি স্বতন্ত্র ও সম্প্রসারিত ক্যাম্পাস নির্মাণ এবং অধিভুক্ত ৭ কলেজকে বাদ দিয়ে বিদ্যমান সম্পদকে নিজেদের উন্নয়নে ব্যয় করার প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসমাজ নামে একটি সংগঠন।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বের) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ক এক সেমিনারে এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।

সেখানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা ও আবদুল কাদের।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার করতে বেশকিছু প্রস্তাব করে শিক্ষকদের এই প্লাটফর্ম।

ক্যাম্পাসের স্থান ও জনসংখ্যার বিকেন্দ্রিকরণের প্রয়োজনে পূর্বাচলে বরাদ্দকৃত ৫০ একর জমিতে ঢাবির একটি স্বতন্ত্র ও সম্প্রসারিত ক্যাম্পাস নির্মানের উদ্যোগ নিতে বলা হয়। বিশেষজ্ঞদের সমীক্ষায় সেখানে কোন বিভাগ, ইনস্টিটিউট বা দপ্তর স্থানান্তর করা যায় তা নিরীক্ষা করা হবে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধারসহ ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজকে বাদ দিয়ে বিদ্যমান সম্পদকে নিজেদের উন্নয়ন ও বিকাশে নিয়োজিত করার প্রস্তাব দেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে লেজুড়বৃত্তিক শিক্ষক রাজনীতি এবং সন্ত্রাস-নির্ভর ও সাম্প্রদায়িক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে কেন্দ্রিয় ছাত্রসংসদ নির্বাচন সক্রিয় করে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নির্বাচন করার কথা বলা হয়। তবে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাক ও স্বাধীন মত প্রকাশ, মানবাধিকার নিশ্চিত করতে সংগঠন করার অধিকারকে সুরক্ষা দিতে হবে বলে জানায় ঢাবি শিক্ষকসমাজ।

ছাত্রী হলগুলোতে লেইটপাস ও কেন্দ্রিয় লাইব্রেরি রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখা, শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষ থেকেই হলে সিট বরাদ্দ, ডিগ্রি সমাপনী পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে হল ত্যাগ করা, নতুন ছাত্রী হল নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে শক্তিশালী ইন্টারনেট সেবা দেওয়া, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, ঋণ ও কর্মসংস্থান দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

এছাড়া নিপীড়ন-নির্যাতন-বৈষম্যবিরোধী সেল গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সকল ধরনের নিপীড়ন, হয়রানি, বৈষম্য ও ভয়ের সংস্কৃতি বন্ধ করা, বিদ্যমান ভর্তি পরীক্ষা মৌলিক কিছু বিষয় পরিবর্তন, ঢাবিকে রির্চাস ইউনিভার্সিটিতে উন্নিত ও ফুল টাইম, ফুল পেইড পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুসহ একজন পিএইচডি অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীকে মাসিক ৫০ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোর পুনর্বিন্যাসের ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকণের কথা কথা বলা হয়। ডিনের পাশাপাশি সহযোগী ডিনের পদ তৈরি করা এবং তিন বছর মেয়াদে এক বারের বেশি কেউ যেন ডিন, হল প্রভোস্ট পদে বহাল না থাকে সেই প্রস্তাব করে ঢাবি শিক্ষকসমাজ।

আলোচনায় লিখিত খসড়া উপস্হাপন করেন অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন, ড. আব্দুলাহ-আল-মামুন, ড. খোরশেদ আলম ও ড. শাহমান মৈশান। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অবিভাবক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরবি/এস

Link copied!