ঢাকা রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

শামীম মোল্লা মৃত্যুর প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম

শামীম মোল্লা মৃত্যুর প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ

ছবি সংগূহীত

জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লার হত্যার প্রতিবাদে ‍‍`সন্ত্রাস বিরোধী জাহাঙ্গীরনগর‍‍` ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩.৩০টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এই বিক্ষোভ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

রকিবুল রনির সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন বিআগের শিক্ষক এবং সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহসান ইমাম বলেন, আমি মানসিকভাবে হত্যার শিকার আমাকে শারীরিক ভাবে হত্যা করা না হলেও মানসিক ভাবে আমি শান্তিতে নেই। আমি পড়াশোনা করতে পারছি না, ঘুমাতে পারছি না, ক্লাস নিতে পারছি না। আমি এই হত্যাকান্ডের যথাযথ বিচার চাই।

ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসিমা হামিদ বলেন, প্রশাসন থাকা অবস্থায় কিভাবে একটি হত্যা হয়?  সঠিক তদন্তের মাধ্যামে তার বিচার করতে হবে। লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি থাকার কারণে শামীমের মতো কেউ তৈরি হয় তাই লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তামিম স্রোত বলেন,  প্রক্টর অফিসে তালা ভেঙে পিটানোর সময় প্রক্টরিয়াল বডি কোথায় ছিলেন? তাদের দায়বদ্ধতা কি নেই? প্রান্তিক গেটে পুলিশ ভ্যান ছিলো তারপরও তাকে সেখানে তুলে দেওয়া হলো কেনো। কোনো নিরাপত্তা অফিসে প্রক্টর থাকা সত্ত্বেও হামলা করা হয়। হত্যাকরিকে পালাতে সাহয্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় ছাত্রদলের অনেক থাকা সত্ত্বেও কেনো ৩০ দিনের তদন্ত করতে হবে। প্রক্টর ও নিরাপত্তা কর্মীদের দায়িত্ব অবহেলার  তদন্ত করে বিচার করতে হবে।

নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী স্মরণ বলেন, কেউ যদি অন্যায়ের সাথে যুক্ত থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। এই হত্যার মাধ্যমে যেভাবে আমাদের ক্যাম্পাসকে কলঙ্কিত করা হয়েছে সেই কলঙ্ক আগেও রটনা হয়েছিল। এই কলঙ্ক মুছতে হলে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদের বিচার করতে হবে।

সমাবেশে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সৌমিত জয়দ্বীপ। তিনি বলেন, ৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলন ছিল বৈষম্য অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে। কিন্তু যে হত্যাকান্ড হয়েছে সেটি কি কাম্য ছিল? বিচার বহির্ভূত এই  হত্যাকান্ডের বিচার অবশ্যই করতে হবে। আমরা যদি স্বৈরাচার পতন করতে পারি তাহলে এসব অপরাধের বিরুদ্ধেও রুখে দাড়াতে পারবো। মব জাস্টিস বলে যেটা করতেছেন এটা আসলে মব ইনজাস্টিস। দেশে আইন আছে আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে।

এরপর একটি মৌন মিছিল বের করে সমাবেশটি শেষ হলে পরবর্তীতে হত্যার বিচার চেয়ে একটি স্মারকলিপি উপাচার্য বরাবর পাঠানো হয়।

আরবি/এস

Link copied!