ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
আনু মোহাম্মদ

কোটা আন্দোলন সরকার পতন আন্দোলনে রূপ নেওয়ার কৃতিত্ব শেখ হাসিনার

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৪, ০২:৪২ পিএম

কোটা আন্দোলন সরকার পতন আন্দোলনে রূপ নেওয়ার কৃতিত্ব শেখ হাসিনার

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আনু মোহাম্মদ বলেছেন, কোটা আন্দোলন সরকার পতন আন্দোলনে রুপান্তর হওয়ার কৃতিত্ব শেখ হাসিনা নিজেরই। তিনি ছাত্রদের সন্ত্রাসী বলা বা দমন করার চিন্তা করছিলেন। ফলে সকল কৃতিত্ব আমি তাকেই দিব।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সিরাজী ভবনে অনুষ্ঠিত ‍‍`গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কার: সম্ভাবনা ও সংকট‍‍` শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, ২০২৩ সালের নির্বাচনের পরে দেশ পুরোপুরি হতাশাগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ঠিক মতো নির্বাচন দিলে তাদের দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হতো না। জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমাদের সফলতা হলো স্বৈরাচার সরকারকে উৎখাত করা, বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলোতে নির্যাতনের কারখানা বন্ধ হওয়া এবং আলোচনার সুযোগ তৈরি হওয়া। এখন যেসকল শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন বর্ষে পড়াশোনা করছে, তাদের অনেকেরই এমন নির্যাতনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

সম্প্রতি ভারত ঘিরে উত্তেজনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমরা সবসময়ই ভারতীয় আগ্রাসনের মধ্যে ছিলাম। তবে বর্তমানে ভরতের পতাকার ওপর দিয়ে যারা হাঁটছে তারা বাংলাদেশর সব থেকে বেশি ক্ষতি করছে। কারণ তারা এগুলো দেখিয়ে আমাদের প্রশ্ন করে। তখন আমরা তো চাইলেও মিথ্যা বলতে পারি না। এই সময়টাতে যদি রামপাল বিদ্যুৎ, পানি বন্টন, সিমান্ত হত্যা নিয়ে কথা বলতো তাহলে ভালো হতো। এগুলো দ্বিপাক্ষিক আলোচনা নায় বরং আন্তর্জাতিক আদালতে নেওয়া উচিত।

মুক্তাঙ্গন আয়োজিত আলোচনা সভার প্রথমার্ধে ছাত্র প্রতিনিধিদের বোঝাপড়া এবং দ্বিতীয়ার্ধে অতিথিদের আলোচনা এই দুই সেশনে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন রাবির ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. গোলাম সারোয়ার ও ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তী।

আলোচনা সভার প্রথমার্ধে ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের রাবি সমন্বয়ক মেহেদী মুন্না, ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক জান্নাতুন নাইম, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, মাদার বখ্শ হল প্রতিনিধি মেহেদী সজীব, ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার, ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য সচিব ওয়াজেদ শিশির অভি, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান মারুফ, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি শামীম ত্রিপুরা, রাষ্ট্রচিন্তা সংগঠক জয়ন্ত গায়েক প্রমুখ।

এছাড়াও আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীসহ প্রায় শতাধিক দর্শক উপস্থিত ছিলেন।

আরবি/ এইচএম

Link copied!