রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলে আবাসিকতা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেও প্রতিকার না পেয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থী তাহমিদা নাসরিন কনক।
রোববার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশনে বসেন তিনি।
অনশনে বসা শিক্ষার্থী তাহমিদা কনক জানান, নীতি বদলে কেন রেজাল্ট দিলো সেই ব্যাপারে সুরাহা এবং তার ন্যায্য সিট বরাদ্দ চেয়ে আজকে অনশনে বসেছি।
অনশনে বসা শিক্ষার্থীর বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, অনশনে বসা শিক্ষার্থী হয়তো আবাসিকতা প্রদানের নতুন নীতিমালা বুঝতে পারেননি। নয়তো হল প্রাধ্যক্ষ ওই শিক্ষার্থীকে বুঝাতে পারেননি। ওই শিক্ষার্থী যদি প্রকৃতপক্ষেই হলে সিট পাওয়ার যোগ্য হয় তবে তাকে তার সিটটি বুঝিয়ে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে চাপ সৃষ্টি করে কার্যসিদ্ধি হাসিলের কোনো সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড.আমিরুল ইসলাম জানান, আমি এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে জানি না। আমি বর্তমানে আমার বিভাগে অবস্থান করছি এবং শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করছি। আমি অনশনের ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি।
প্রসঙ্গত, তাহমিদা কনক বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) এবং রহমতুন্নেছা হলের অনাবাসিক একজন শিক্ষার্থী।
এর আগে হলে আবাসিকতা প্রদানের ফলাফল প্রকাশ করলে আবাসিকতা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দৃশ্যমান কোনো প্রতিকার না পাওয়ার প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) করে সংবাদ সম্মেলনও করেন এই শিক্ষার্থী।
আপনার মতামত লিখুন :