ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

শহীদি মার্চ: মাদ্রাসা-স্কুলসহ সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪, ০৬:৩৭ পিএম

শহীদি মার্চ: মাদ্রাসা-স্কুলসহ সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একমাস উপলক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহীদি মার্চ’ এ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সরকারি চাকুরিজীবী পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষ অংশ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে মার্চ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল তিনটায় কর্মসূচিতে যোগ দিতে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন। তারা শহীদদরে স্মরণ করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। 

শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ জাতীয় পতাকা নিয়ে এসেছেন। জাতীয় পতাকার সাথে ফিলিস্তিনের পতাকাও এনেছেন কেউ কেউ। এছাড়াও শহীদদের নাম ও ছবি সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে অনেকেই এসেছেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্চ করে শিক্ষার্থীরা রাজধানীর নীলক্ষেত, সাইন্সল্যাবে, কলাবাগান, সংসদ ভবন, ফার্মগেট, কাওরানবাজার ও শাহবাগ হয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ এসেছেন। তাদের সাথে রাজধানীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দিয়েছেন। 

কর্মসূচিতে এক বছরের ছেলেকে নিয়ে এসেছেন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ডা. মো. সাদিক। তিনি বলেন, আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাটা সবচেয়ে বড় ছিল। যাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা আজ মতপ্রকাশ করতে পারছি, তাদের স্মরণে মার্চে অংশ নিয়েছি। 

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব আহমেদ ইমন বলেন, আজ থেকে এক মাস আগে আমরা স্বাধীনভাবে কিছু করতে পারতাম না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না। ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে আমরা স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। শহিদদের স্মরণে আজকে এখানে এসেছি। জুলাই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলের বিচারের দাবি জানান তিনি।

জামেয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শহীদুল্লাহ্ মাহমুদ বলেন, যারা জুলাই হত্যাকাণ্ডে শহিদ হয়েছেন তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শহিদ ঘোষণ করা এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসি দেওয়া দাবিতে আজকে এই শহীদী মার্চে এসেছি।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে আজকের কর্মসূচি শেষ হবে।

আরবি/ এইচএম

Link copied!