ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজকে বিষফোঁড় উল্লেখ করে তাদের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। এসময় অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে ক্যাম্পাস ঘুরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে এক সপ্তাহে মধ্যে অধিভুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে ‘এক দফা, এক দাবি, অধিভুক্ত মুক্ত ঢাবি’, ‘সাত কলেজের ঠিকানা, এই ঢাবিতে হবে না’, ‘রাখতে ঢাবির সম্মান, সাত কলেজ বেমানান’, ‘অধিভুক্তি বাতিল চাই, বাতিল কর, করতে হবে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ঢাবি জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘শোনো বোন, শোনো ভাই, ঢাবির কোনো শাখা নাই’- ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভকারী খায়রুল আহসান মারজান গণমাধ্যমকে বলেন, এই অধিভুক্তির শুরু থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর বিরোধিতা করে আসছে। তৎকালীন সময়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমঝোতার কথা বলা হলেও গত ছয় বছরে কোনও সমাধান দিতে পারেনি প্রশাসন। এই নতুন বাংলাদেশ উপদেষ্টা পরিষদে যারা আছে তারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ঠিক রাখতে এটি বাতিলের যথাযথ পদক্ষেপ নিন।
তিনি আরও বলেন, সাত কলেজ বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। এর অধিভুক্তি বাতিল ছাড়া অন্য কোনও সমাধান নেই। সাত কলেজও অধিভুক্তি বাতিল চায়। তাহলে বাতিল করতে বাঁধা কোথায় আমরা বুঝি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সক্ষমতা আলোকে তাদের চার লাখ শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া সম্ভব না। আমরা অবিলম্বে তাদের অধিভুক্তি বাতিল চাই।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, র্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিন দিন অবনতির কারণ এই সাত কলেজ। আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে এই কলেজগুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হয়। তাদের অধিভুক্তি বাতিল করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরও অনেক এগিয়ে যাবে। আমরা শিগগিরই এই অধিভুক্তি বাতিল চাই। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।
আপনার মতামত লিখুন :