বাংলাদেশের প্রথম পাতাল রেল (এমআরটি লাইন-১) ২০২৬ সালে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই রেল চলাচল শুরু হলে, বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর যেতে মাত্র ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ড সময় লাগবে। এখানে ১২টি স্টেশনে থেমে থেমে চলবে রেল।
এছাড়া, নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল এবং কমলাপুর থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য ২০ মিনিট ৩০ সেকেন্ড এবং ৩৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ড সময় লাগবে।
এই পাতাল রেল প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে দৈনিক আট লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন, যা ঢাকার যানজট নিরসন এবং পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য এক বড় পদক্ষেপ।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঁঞা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনের দূরত্ব ১৮ দশমিক ৯৩ কিলোমিটার। যাতায়াতে মোট সময় লাগবে ৩৩ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড। স্টেশনে যাত্রাবিরতির সময় ৩০ সেকেন্ড থেকে ৪৫ সেকেন্ড। দুই স্টেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকবে ঘণ্টায় ৯৯ কিলোমিটার।
উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত স্টেশনগুলোতে যাত্রাবিরতি করা না হলে পরিকল্পনা অনুযায়ী মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।
এছাড়া, পাতাল রেল নির্মাণে বিশেষ টানেল ব্যবহৃত হবে, যেখানে মাটির উপরের স্তর থেকে ১০-১৩ মিটার গভীরতায় টানেল নির্মাণ করা হবে এবং কিছু জায়গায় মাটির উপরের স্তর থেকে ৩৪ মিটার গভীরতা পর্যন্ত টানেল নির্মাণ করা হবে।
এই প্রকল্পটি শুধু শহরের পরিবহণ ব্যবস্থাকে উন্নত করবে না বরং জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পরিমাণ কমিয়ে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে চলাচলের সুযোগ তৈরি করবে। ঢাকার যানজট কমিয়ে কর্মঘণ্টা সাশ্রয়ী হবে, যা দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
আপনার মতামত লিখুন :