ঢাকা: শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগ-পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যরা কর্মবিরতিতে গিয়েছিলেন। এ সময় রাস্তায় বিশৃঙ্খলা রোধে মোড়ে মোড়ে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের কাজ করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকেরা। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর সড়কে ফিরেছে পুলিশ। সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। গত কয়েকদিন সড়কে শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর আন্দোলনকারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ক পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম ও কনস্টেবল শোয়াইব হাসান সোমবার থেকে কাজে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন। পুলিশ বাহিনীতে সংস্কারের আশ্বাসে কর্মবিরতিসহ সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন বলে জানান তাঁরা।
এরই মধ্যে মহাখালী সিগন্যাল, কাকলী, বনানী, গুলশানসহ ঢাকার প্রায় সব সড়কে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন। এসকল জায়গা সরেজমিনে দেখাযায়, ট্রাফিক পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। এসব সড়কে শিক্ষার্থী, বিএনসিসি ও স্কাউটের সদস্যরাও রয়েছেন। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে যেন শিক্ষার্থীদের কোনো ভুলভ্রান্তি না হয় সেজন্য ছাত্র সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সকাল থেকে ট্রাফিক বিভাগের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে কর্মস্থলে করে কাজ শুরু করেছে। শিক্ষার্থীরা আমাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমরা আশা করি আগমী দিনে আমাদের দায়িত্ব আরো নিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারবো। সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন থাকবে তারা আমাদের কাজে সহযোগীতা করবেন। সকলেই ট্রাফিক আইন মেনে চলবেন।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা গত এক সপ্তাহ ধরে রাস্তায় সড়কে ট্রাফিকের কাজ করছি। যে সকল পুলিশ ভাইয়েরা রোদ বৃষ্টিতে শহরের ট্রাফিক ঠিক রাখার কাজ করেন তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানায় । একইসাথে যারা ট্রাফিক আইন মানেন না তদের কে অনুরোধ করবো পুলিশকে সাহায্যে করতে। বিশেষ করে বাইকার যারা তারা আইন ভাঙেন বেশি । যাদের বয়স ১৬ থেকে ২২ বছরের ভিতর তারা উল্টা পাল্টা বাইক চালান। তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে তারা নিরপদে গাড়ি চালবেন এবং আইন মেনে চলবেন।
কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর বেশকিছু দাবিতে ৬ আগস্ট থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন।
আপনার মতামত লিখুন :