চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও তা না মেনে রাজধানীর অলিগলিসহ সড়ক মহাসড়ক অবাধে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা। রাজধানীর অন্য এলাকার থেকে বাড্ডায় তুলনামূলক ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা কয়েকগুণ বেশি।এর প্রধান কারণ ব্যাটারি চালিত রিকশা গ্যারেজের মালিকদের সিন্ডিকেট।
বাড্ডায় নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা মালিকদের মধ্যে অন্যতম প্রভাবশালী কয়েকজন রিকশা গ্যারেজের মালিক গড়ে তুলেছেন চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। বাড্ডার আফতাবনগর, পোস্ট অফিস গলি, উত্তর বাড্ডা সাতারকুল রোড, দক্ষিণ বাড্ডা পুলিশ প্লাজার পিছনসহ কয়েকটি স্পট থেকে প্রতিদিন প্রকাশ্যে আদায় করা হচ্ছে চাঁদার টাকা।
গ্যারেজ মালিকরা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করত বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এই প্রভাবশালী গ্যারেজ মালিক ও তাদের চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট বাহিনী দলবল নিয়ে অংশগ্রহণ করতেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কাউন্সিলদের সাথে তাদের ছিল সখ্যতা। এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থীর পক্ষে এই গ্যারেজ মালিকদের অবস্থানও ছিল চোখে পড়ার মত।
রাজনৈতিক প্রভাব ও পুলিশের কিছু সুবিধাভোগী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার সাথে সু-সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে গ্যারেজ মালিক থেকে এরা হয়ে ওঠে ভয়ংকর চাঁদাবাজ।কথিত লাইন ম্যান দিয়ে জনসম্মুক্ষে আদায় করা হয় চাঁদা।গ্যারেজের আড়ালে চলছে মাদকের আখড়া।
কয়েকমাস আগে এই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি চাঁদাবাজির মামলাও করে।মামলায় চিহ্নিত চাঁদাবাজ ৪ জন গ্যারেজ মালিকসহ মোট ৬ জনকে আসামী করা হয়।আসামীদের গ্রেপ্তার করে চালান দেয়া হলেও আসামীরা কোর্ট থেকে জামিনে বের হয়ে আবারো চাঁদাবাজিতে সক্রিয় হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরে, ভোল পাল্টাতে শুরু করেছে এসব সুবিধাবোগী চিহ্নিত চাঁদাবাজ`রা।এখন আওয়ামী লীগের পদ-পদবী লুকিয়ে,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা সমাবেশে তারা দলবল নিয়ে যোগও দিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :