ঢাকা শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

দালালমুক্ত উত্তরা বিআরটিএ, ১০ মিনিটেই সেবা পাচ্ছে গ্রাহক

তরিক শিবলী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম

দালালমুক্ত উত্তরা বিআরটিএ, ১০ মিনিটেই সেবা পাচ্ছে গ্রাহক

ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় উত্তরার দিয়াবাড়ির বিআরটিএতে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের কাছ থেকে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কিছু দালালচক্র প্রতারণাসহ টাকা-পয়সা লুট করে নেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

বর্তমানে রাজধানীর উত্তরা বিআরটিএর সার্কেল-৩ এর কার্যালয় দালালমুক্ত হওয়ায় ১০ মিনিটেই সেবা পাচ্ছেন গ্রাহকগণ।

সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকা অবস্থায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দিয়াবাড়ির বিআরটিএ‍‍`র ঢাকা মেট্রো সার্কেল-৩ এর অফিসের আশেপাশে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণাসহ টাকা পয়সা লুট করে নিতো। মাঝে মধ্যে দালালদের আটক করতে বিআরটিএ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে কিছু দালালদের আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। তবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিআরটিএ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতো সব সময়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর সরকার পতনের সাথে সাথে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যারা বিআরটিএ নিয়ন্ত্রণ করত তারাও গা ঢাকা দিয়েছে। এ কারণে এখন বিআরটিএ‍‍`তে তেমন কোন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিআরটিএ দালালমুক্ত হওয়ায় খুব অল্প সময়ে সেবা পাচ্ছেন বিআরটিএ‍‍`তে আসা গ্রাহকরা। আগে যেখানে দীর্ঘ সময় ঘুরতে হতো দালালদের চক্করে, বর্তমানে সে চিত্র আর দেখা যাচ্ছে না। বিআরটিএ‍‍`তে আসা গ্রাহকরা মাত্র ১০ মিনিটেই তাদের কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন। বিআরটিএ দালালমুক্ত করতে উত্তরা বিআরটিএর সার্কেল-৩ এর উদ্যোগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিআরটিএ’র আশেপাশের চায়ের দোকানসহ কম্পিউটার কম্পোজের দোকানপাট।

উত্তরা বিআরটিতে সেবা নিতে আসা নয়ন নামের এক ব্যক্তি আসেন মালিকানা পরিবর্তন করতে। তিনি বলেন, আগে যেখানে সারাদিন সময় লাগত কাজ শেষ করতে। কিন্তু আজ মাত্র ১০ মিনিটে তিনি তার কাজ শেষ করতে পেরে আনন্দিত।

তিনি আরও বলেন, আগে একবার আসছিলাম মালিকানা পরিবর্তন করতে তখন দালালরা অনেক টাকা দাবি করে বলেছিল কয়েকদিন সময় লাগবে। কিন্তু আজ আসা মাত্র দালাল ছাড়া মাত্র ১০ মিনিটেই কাজ শেষ করে ফেলছি।

নাজমুল  নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উত্তরা বিআরটিএ‍‍`তে আসি আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে। আসার সাথে সাথে আমি আমার কার্ডটি হাতে পাই। কোন প্রকার ঝামেলায় পড়তে হয়নি কিন্তু এক মাস পূর্বে যখন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসি তখন দালালদের কারণে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে বিআরটিএ’র সুন্দর সেবায় আমরা খুশি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরা বিআরটিএর সার্কেল-৩ এর উপ-পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মোরছালিন জানান, ঢাকা মেট্রো সার্কেল-৩ এর কার্যালয় গ্রাহকদের জরুরী সেবা দিতে সর্বদা প্রস্তুত। পূর্বে উত্তরা বিআরটিএ দালালদের একটা সিন্ডিকেট ছিল সেটা বর্তমানে আর নাই। এখন গ্রাহকরা খুব অল্প সময়ে ভালো সেবা পাচ্ছেন বিআরটিএ থেকে।

আরবি/ এইচএম

Link copied!