সরকারি দপ্তরে আউটসোর্সিং-এ নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী (৯ম-২০তম) গ্রেড কে রাজস্বকরণ করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করেছে এলজিইডি আউটসোর্সিং ঐক্য পরিষদ। এতে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি যান চলাচলে অচল হয়ে পড়ে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী ও পরিবহন চালকরা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ৯টা হতে এই কর্মসূচি শুরু করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এলজিইডি আউটসোর্সিং ঐক্য পরিষদের সদস্যরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ত্যাগ করবেন না বলে জানান তারা।
আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোঃ আব্দুর রাকিব সনেট রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, দেশের তথা জনগণের সেবা প্রদানের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগন নিরলসভাবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। তবে এটি একটি কালো আইন বা ডিজিটাল দাস প্রথা তথা আউটসোর্সিং নীতিমালা-২০১৮ এর উপর প্রতিষ্ঠিত । যার দ্বারা নিয়োজিত সকলের ও সরকারের অর্থ ক্ষতি হচ্ছে, কারণ এই আউটসোর্সিং আইনের মাধ্যমেই ঠিকাদার কর্তৃক টেন্ডার ব্যবসার মাধ্যমে সরকারের মূল্যবান অর্থ আত্মসাৎ করে যাচ্ছে। সারা বাংলাদেশের সকল ঠিকাদারগণ এই জনবল সর্বরাহের নামে প্রতিমাসে প্রায় শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই আমরা চাই, এই সরকারি অর্থের অপচয় না করে আউটসোর্সিং নীতিমালা বাতিল করে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে রাজস্বকরন করে নাগরিকের ন্যায্য অধিকার আদায় করা।
আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজস্বকরন করলে সরকার পক্ষ হতে তেমন অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হবে না বলে মনে করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মোঃ দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, প্রতিমাসে যে পরিমাণ অর্থ আউটসোর্সিং ঠিকাদারগনকে প্রদান করা হচ্ছে, তা বন্ধ হলে সরকারের যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় হবে। যার আসল ও লভ্যাংশ থেকে রাজস্বকরণকৃতদের জন্য অতিরিক্ত যাবতীয় ব্যয় বহন করা সম্ভব। তাই আমার চাই সরকারি দপ্তরে আউটসোর্সিং-এ নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী (৯ম-২০তম) গ্রেড কে রাজস্বকরণ করা হোক। আমাদের দাবি মেনে না নিলে আন্দোলন চলবে।
এদিকে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরোধের ফলে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে শাহবাগ এলাকাজুড়ে। ফলে শাহবাগ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকেও আউটসোর্সিং কর্মচারীরা শাহবাগ অবরোধ করে অবস্থান করছেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে পরে পুলিশ আবার পেছনে সরে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :