শ্রমিক লীগের নাম বদলে এবার শ্রমিক ফেডারেশনের নামে বিআইডব্লিউটিএ অফিস দখলের চেষ্টা করে ওসমান গণির নেতৃত্বে আওয়ামী সমর্থিত কর্মচারী । তারা স্লোগান দিতে দিতে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ`র সদস্য (পরিকল্পনা পরিচালন) ড. জিয়াউল ইসলামের রুমে ঢোকার চেষ্টা করেন। এসময় কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদেরকে বাধা প্রদান করলে রুমের সামানে ধস্তা-ধস্তি হয়। বহিরাগতরা পরিচালক প্রশাসন কাজী ওয়াকিল নেওয়াজ এর সাথেও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশকে খবর দেন কর্তৃপক্ষ। মতিঝিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিআইডব্লিউটিএ থেকে চাকরিচ্যুত ওসমান গণির নেতৃত্বে বরিশাল, খুলনা, আরিচাসহ একদল আওয়ামী সমর্থিত কর্মচারী বিআইডব্লিউটিএ`র সদস্য, (পরিকল্পনা পরিচালন) ড. জিয়াউল ইসলামের কক্ষে ঢুকার চেষ্টা করেন। তারা জিয়াউল ইসলাম এর রুমে কি উদ্দেশ্যে ঢুকতে চেয়ে ছিলেন তা জানা যায়নি। তারা হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে প্রবেশ করেন। এসময় কর্মচারীরা তাদের বাধা প্রদান করলে বহিরাগতরা চড়াও হন। একইভাবে পরিচালক (প্রশাসন) কাজী ওয়াকিল নেওয়াজকে অপমান অপদস্থ করেন। বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে থমথমে বিরাজ করছে। সন্ত্রাসীরা যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটাতে পারে। বিআইডব্লিউটিএ সাধারণ কর্মচারীরা ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এর আগেও শ্রমিক লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী বিআইডব্লিউটিএ ভবনে ঢুকে শ্রমিক দলের সভাপতি মাজহারুল ইসলামকে মেরে ডান হাত ভেঙ্গে দেয়।
জানা যায়, বিআইডব্লিউটিএ ফ্লোটিং ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (রেজি নং বি-১৩২০) বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এর অন্তর্ভুক্ত। একই ভাবে বিআইডব্লিউটিএ ফ্লোটিং ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (রেজি নং বি-১৩২০) শ্রমিক লীগের অন্তর্ভুক্ত। প্রশ্ন উঠেছে কিভাবে দুটো সংগঠনের রেজি নং একই নাম্বারে?
বিআইডব্লিউটিএ`র সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা বলেছেন, ওসমান গণি ভয়ংকর লোক। এই সঙ্ঘবদ্ধ চক্র বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে শ্রমিক লীগের ব্যানারে বিআইডব্লিউটিএ`তে লুটে-পুটে খেয়েছেন। এখন নতুন করে শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে বিআইডব্লিউটিএ`তে ঢুকার পায়তারা করছেন।