ঢাকা শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

প্রয়াসের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রয়াস, ঢাকা এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ঢাকা সেনানিবাসের প্রয়াস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রয়াসের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মোট ১০১টি ইভেন্টে ৩০৩ জন শিক্ষার্থী ১ম, ২য় ও ৩য় পুরস্কার লাভ করেছে। সমাপনী দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা খেলার ইভেন্টের পাশাপাশি মার্চ পাস্ট ও মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লেতে অংশগ্রহণ করে।

উক্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে ভিন্নভাবে সক্ষম শিশুসহ একীভূত কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীদের উন্নতি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি সুন্দর সমাজ গঠনে সকলের সহযোগিতার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি প্রয়াসের সকল শিক্ষার্থীদেরকে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নৈপুন্য প্রদর্শনের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান। সেনাবাহিনী প্রধান প্রয়াসের বহুমুখী কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসহ সকলকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে প্রয়াস এর পৃষ্ঠপোষক সারাহনাজ কমলিকা জামান এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ মহিউদ্দিনসহ এ প্রতিষ্ঠানের সহকারী পৃষ্ঠপোষক, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, অধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, অভিভাবকমন্ডলী, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রয়াস, ঢাকা ২০০৬ সালে ‍‍`সেনা সহায়ক স্কুল‍‍` নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানটিতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ও সাধারণ শিক্ষার্থীসহ মোট ১৬৮৯ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করছে।  বিশেষায়িত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তির মৌলিক অধিকার, কল্যাণ, সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে চলছে। প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্যসেবা, বিশেষ ও একিভূত শিক্ষা বাস্তবায়ন, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলছে।