রাজধানীর বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পোশাক শ্রমিক নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে সড়ক ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন নিহতদের সহকর্মীরা। এর প্রভাবে ওই এলাকার সড়কের পাশাপাশি তীব্র যানজট ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের সড়কগুলোতেও।
সোমবার (১০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ইসিবি চত্বর, মাটিকাটা থেকে ফ্লাইওভার হয়ে রেডিসন ব্লু হোটেল পর্যন্ত সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, পুরো সড়কেই গাড়ির তীব্র চাপ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অবরোধের কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যেসব গাড়ি সামনে যেতে পারছে না সেগুলো ফ্লাইওভার দিয়ে মিরপুরের দিকে প্রবেশের চেষ্টা করছে। অনেকে আবার বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি ঘোরানোরও চেষ্টা করছেন। আর ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখ, উপরে এবং শেষপ্রান্ত পর্যন্ত উভয় পাশের সড়কেই গাড়ি থেমে আছে। কিছু সময় পরপর সামনে কিছুটা ফাঁকা হলে কয়েকটি গাড়ি সামনে এগিয়ে যেতে পারছে। আর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বনানী থেকে বিমানবন্দর ছাড়িয়ে উত্তরার জসিমউদ্দীন পর্যন্ত যান চলাচল এক প্রকার স্থবির হয়ে আছে। এ অবস্থায় ব্যাপক বিপাকে ও ভোগান্তিতে পড়েছেন রোজা রেখে বাইরে বের হওয়া মানুষজন। সড়কে দীর্ঘসময় বাসে বসে থেকে অনেককেই হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা করতে দেখা গেছে।
তারিক আজিজ নামে এক পথচারী বলেন, দীর্ঘসময় ধরে সড়কে বসে আছি। কিন্তু গাড়ি জায়গা থেকে নড়ছে না। এখন পেছনে ফিরে যাব সে সুযোগও নেই। বাধ্য হয়েই হেঁটে পেছনে যাচ্ছি। দেখি কোন পর্যন্ত গিয়ে গাড়িতে উঠতে পারি।
আলী হোসেন নামে একজন বলেন, আজ দুপুর ২ টায় আমার সৌদির ফ্লাইট। কিন্তু এখনও রাস্তায় আটকে আছি। আদৌ ফ্লাইট ধরতে পারব কি না জানি না।
ডিএমপি ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মফুদুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে যাত্রীদের যেন ভোগান্তি না হয় সেজন্য গাড়ি ডাইভারশন করে দিচ্ছি। কিছু গাড়ি ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে, কিছু গাড়িকে রামপুরা রোড এবং প্রগতি সরণি দিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে।