রাজধানীর গুলশানে ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গাড়িচালক সজল হোসেন পলাশকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ মার্চ) গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাঈম উদ্দিন সুজন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রোববার বেলা ১১টার দিকে গুলশান বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে শিশুটির চিকিৎসা চলছে।
এসআই সুজন জানান, শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে গুলশান বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনের একটি বাসায় ভাড়া থাকে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ে সে। তার বাবা মারা গেছেন। মা অন্যের বাসায় কাজ করেন।
এর আগে তারা যে এলাকায় থাকতো, সেখানে তাদের পাশাপাশি বাসায় ভাড়া থাকতো সজল নামে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। সেখান থেকে তাদের মধ্যে পরিচয়। সে পরিচয় সূত্রে এখনো মাঝেমধ্যে তাদের নতুন বাসায় আসা যাওয়া করতো সজল।
তিনি জানান, রোববার সকালে মেয়েটির মা কাজে ছিলেন। তখন বাসায় একাই ছিল শিশুটি। এ সময় সজল বাসায় আসে এবং শিশুটিকে ধর্ষণ করে চলে যায়। পরবর্তীতে শিশুটির মা বাসায় আসলে মাকে সবকিছু খুলে বলে শিশুটি।
এরপর থানায় গিয়ে মামলা করেন তিনি। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত সজলকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এর আগে, গত ৬ মার্চ মাগুরায় বোনের শ্বশুর কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয় একটি শিশু। ঘটনার পর অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনাটি দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এরপর গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক বের হতে থাকে শিশু ধর্ষণের লোকহর্ষক নানা ঘটনা। সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে ধর্ষণ বিরোধী উত্তাপ। বিভিন্ন জেলায়, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ।