মেট্রোরেলে নারীদের সংরক্ষিত কোচে উঠে পড়া পুরুষ যাত্রীদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন এক নারী। ওই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
এমন ঘটনা এড়াতে নেওয়া হয়েছে কিছু নতুন পদক্ষেপও।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ নারীদের সংরক্ষিত বগির সামনে ব্যারিকেড দিয়েছে।
পাশাপাশি সেখানে একটি কাগজে লেখা হয়েছে, ‘প্রথম কোচ শুধু মহিলা যাত্রীদের জন্য’।
এছাড়া মহিলা কোচে যেন পুরুষ যাত্রী না উঠতে পারেন সেজন্য একজন নিরাপত্তকর্মীও নিয়োজিত করা হয়েছে।
মেট্রোরেলের একাধিক স্টেশনে এমন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা গেছে।
জানা গেছে, গত বুধবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ‘বাংলাদেশ মেট্রো রেলওয়ে ইনফরমেশন’ নামে ফেসবুক গ্রুপে নিলুফার পারভিন মিতু নামে এক যাত্রী পোস্ট করেন। সেখানে যৌন নিপীড়নের বিষয়ে অভিযোগ জানান। এরপরই নজরে আসে মেট্রোরেল পরিচালনা কর্তৃপক্ষের। পরবর্তিতে বিষয়টি তারা অনুসন্ধান করে দেখার কথা বলেন।
মিতু নামের ওই যাত্রা গ্রুপে লেখেন, ‘নারীদের জন্য সংরক্ষিত বগিতে ওই সময় ১০ থেকে ১২ জন পুরুষ ছিল। তারা বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে শিশুসহ নারীদের শ্লীতাহানি করেন।’
ওই ঘটনার বর্ণনায় নিলুফা গণমাধ্যকে বলেন, ‘ফার্মগেট স্টেশন ছাড়ার পর এক নারী কাঁদতে কাঁদতে দরজার দিকে এসে ট্রেন থেকে বের হওয়ার জায়গা দিতে বলেন। সেসময় কারণ জানতে চাইলে ওই নারী ও তার শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার কথা বলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই নারী বলছিলেন, তার মেয়ে ও তাকে বাজেভাবে অ্যাবিউজ করা হয়েছে। প্রথমে বুঝতে পারিনি নারীদের কামরায় কীভাবে সম্ভব। পরে ওই নারী পেছনের দিকে দেখান, সেখানে ১০-১২ পুরুষ যাত্রী ছিল। তারাই মেয়েদের হয়রানি করছিলেন।’
ওই সময় ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা ইনভেস্টিগেশন করছি।’
এরআগে মেট্রোরেলে যাত্রীদের মধ্যে যেকোনো ধরনের বাগবিতণ্ডা নিয়ন্ত্রণ এবং অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রতিটি ট্রেনে ২ জন করে পুলিশ সদস্য নিয়োজিত করা হয়। একই সঙ্গে স্টেশনগুলোতেও দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরাও নিরাপত্তার দায়িত্বে করছেন। গত মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দপ্তর থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :