ধর্ষণচেষ্টার কারণেই খুন হন হাবীবুল্লাহর উপাধ্যক্ষ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম

ধর্ষণচেষ্টার কারণেই খুন হন হাবীবুল্লাহর উপাধ্যক্ষ

ছবি: সংগৃহীত

আশ্রিতাকে ধর্ষণচেষ্টার কারণেই খুন হন হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া বলে জানিয়েছেন ডিএমপির উত্তরা জোনের ডিসি মো. মুহিদুল ইসলাম।

বুধবার (১২ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘটনার তিন–চার দিন আগে রেলস্টেশন থেকে ওই দম্পতিকে এনে নিজের বাসায় আশ্রয় দেন সাইফুর রহমান। তারা নীলফামারী থেকে ট্রেনে ভোরে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনের আট নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামেন। এরপর নাসিম স্ত্রীকে স্টেশনে রেখে নাস্তা কিনতে গেলে ঘুমিয়ে পড়েন রূপা। ঘুম থেকে উঠে দেখেন, সঙ্গের জিনিসপত্র কেউ নিয়ে গেছে। তখন তিনি কান্নাকাটি শুরু করেন। ওই সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন সাইফুর। তিনি কান্নার কারণ জানতে চান। সব শোনার পর তিনি দুজনকে কাজ দেওয়ার কথা বলে বাসায় নিয়ে আসেন। সেখানে কার্যত তাদের বন্দি করে রাখা হয়। তিনি বাসার বাইরে গেলে বাসার দরজায় তালা ঝুলিয়ে যেতেন। এদিকে বাসায় শিক্ষকের পরিবারকে না পেয়ে রূপা এ নিয়ে প্রশ্ন করেন। তখন সাইফুর জানান, তার পরিবারের সদস্যরা বাইরে আছেন। তবে কয়েকদিনেও তারা বাসায় না আসায় স্বামী–স্ত্রীর সন্দেহ হয়। মাঝেমধ্যে নাসিমের সামনেই তার স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন অংশে বাজেভাবে হাত দিতেন সাইফুর। এ নিয়ে ক্ষোভের মধ্যেই ঘটনার দিন ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার দম্পতি সাইফুরকে কুপিয়ে ফেলে যাওয়ার সময় তার মোবাইল ফোন ও বাসার সব চাবি সঙ্গে নিয়ে যায়।

ডিএমপির উত্তরা জোনের ডিসি মো. মুহিদুল ইসলাম বলেন, গত ৯ মার্চ রাতে ঘুমের সময় রুপার ঘনিষ্ঠ হতে গেলে টের পেয়ে যান স্বামী নাজেম। এরপরেই সাইফুলের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তাদের। একপর্যায়ে রুপা এবং নাজেম দম্পতি সাইফুর রহমানকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে বাথরুমে আটকে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করে নিহতের ছোট ভাই।

আরবি/এসবি

Link copied!