সরগরম দর্জিবাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম

সরগরম দর্জিবাড়ি

ছবি: সংগৃহীত

ঈদকে সামনে রেখে বিরতিহীন সেলাই মেশিনের যান্ত্রিক শব্দ বলছে, দম ফেলার ফুরসত নেই কারিগরদের। ঈদ উপলক্ষে সবাই নতুন নতুন পোশাক বানাতে ও কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ফ্যাশন সচেতন ও রুচিশীল ব্যক্তিরা তাদের পছন্দমতো ফিটিংসে জামাকাপড় বানাতে ছুটছেন দর্জির দোকানে। বাহারি রঙের গজ কাপড় আর নানা নকশার সেলাইবিহীন পছন্দের পোশাক বানাতে সরগরম রাজধানীর দর্জির দোকানগুলো।

সরেজমিনে রাজধানীর  কয়েকটি দর্জির দোকান ঘুরে দেখা যায়, ১২ রমজানের  সময়ে এসে ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিবাড়িগুলোতে। সেলাই করতে আসা ব্যক্তিরা বলছেন, তাড়াহুড়োতে কাপড় সেলাই করতে অনেক সময় ভুল হয়। যা ঈদের আনন্দকে নষ্ট হয়। সেই চিন্তা থেকেই অনেকে আগেভাগে বানিয়ে ফেলছেন তাদের পছন্দের জামা-কাপড়।  এবারে দর্জিরা শার্টের মজুরি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা নিচ্ছেন। মেয়েদের থ্রি-পিস সেলাইয়ের মজুরি মানভেদে ৩৫০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন।

এনেক্স টেইলার্সের জাফর বলেন, শবে বরাতেই আমাদের অর্ডার নেয়া বন্ধ হয়ে যায়। তবে এ বছর ১০ রমজানের পর অর্ডার বেশি এসেছে। সবাই ১০ রমজানের পর থেকে ঈদের শপিং করেন। দোকানগুলোতে ঈদের কালেকশন ১০ রমজানের পর থেকেই আসে। এখন ১২ রমজান চলে আমাদের অর্ডার নেয়া প্রায় শেষ আর দুইদিন সর্বোচ্চ অর্ডার নিতে পারব।  

রাইসা ফ্যাশনের এক কারিগর বলেন, অর্ডার অনুযায়ী আমরা গুনবো যে, দিনে কয়টা করে করতে হবে। তার ওপর নির্ভর করবে যে আর কোনো অর্ডার নেয়া যাবে কি না। আমাদের কাছে  পাকিস্তানি থ্রি-পিস, কারিজমা থ্রি-পিস, আগানুর, সাদা বাহার বুটিক্স  ও সাজনা থ্রি-পিসের সেলাইয়ের অর্ডার বেশি আসছে। ঈদের এ সময়টাতে কাজের চাপ বেশি থাকে তাই কারিগর ভাড়া করেছি। নিয়মিত কারিগর দিয়ে এ চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে।  

দর্জির দোকানে আসা এক বেসরকারি চাকরিজীবি বলেন বলেন, পছন্দমতো নক্‌শা ও ফিটিংসের পোশাক বানাতে সময় লাগে। তা ছাড়া তড়াহুড়োতে কাপড় সেলাই করতে অনেক সময় ভুল হয়  তাই একটু আগে থেকেই সেলাইয়ের অর্ডার দিতে এসেছেন

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!