ঢাকা শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫

গোলাপি বাসও হতাশায় ডুবাল নগরবাসীকে

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৫, ০২:০৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ  করা যাচ্ছে না রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থা। নতুন মোড়কে বাসের রুট রেশনালাইজেশনের আশা জাগানো গোলাপি বাসও হতাশায় ডুবিয়েছে নগরবাসীকে। যদিও এজন্য কেবল সরকার কিংবা পরিবহন মালিক-শ্রমিক নয়, যাত্রীদের অসচেতনতাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানো, যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা রোধে বাস রুট রেশনালাইজেশনকে পাশ কাটিয়ে বেসরকারি উদ্যোগে ৬ ফেব্রুয়ারি চালু হয় কাউন্টার ভিত্তিক নির্দিষ্ট রঙের বাস চলাচল। ১ম রুট হিসেবে আবদুল্লাপুর হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করা সব বাসের রং নির্ধারণ করা হয় গোলাপি। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে এ ব্যবস্থা।

সব জায়গায় নেই কাউন্টার, তাই ই-টিকিটিং ব্যবস্থাও চালু হওয়ার আগেই বন্ধ। আর যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা যেন অধিকার। সঙ্গে বাড়তি ভাড়া আর একে অপরকে দোষারোপ তো আছেই।

যাত্রীরা বলছেন, ই-টিকিটিং পদ্ধতি রাজধানীবাসীকে আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু পরিবহনের কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় রাজধানীতে যাতায়াতে যাত্রীরা এখন হতাশ। এ অবস্থায় পরিবহন শ্রমিকদের মানিসক পরিবর্তন কখনোই ঘটবে না।

এদিকে, বেশি টাকা আয় করতে মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ পরিবহন শ্রমিকরা। আর সিটি করপোরেশনের অসহযোগিতার অভিযোগ আছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির।

সমিতির কোষাধ্যক্ষ এ এস এম আহম্মেদ খোকন বলেন, চুক্তি পদ্ধতিটা মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে বিষফোঁড়ার মত হয়ে গেছে। তাই আমরা কাউন্টার পদ্ধতিতে চালুর করতে চেয়েছি। কিন্তু সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা আমরা পাচ্ছি না। যখন আমরা কাউন্টার বসাতে যাই তখন বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। 

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম হাদিউজ্জামান বলেন, স্টেট অন কোম্পানি করা হলে সেখানে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। যে বাসগুলোর আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেছে কোম্পানি চাইলে সেগুলো রাস্তা থেকে উঠিয়ে নিতে পারবে। এখন যারা ব্যবসা করছেন তারাও কিন্তু কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার হতে পারবেন। তারা সেখানে বিনিয়োগ করবেন। ধীরে ধীরে বাসের স্ট্রাকচারেও পরিবর্তন আনা সম্ভব। তখন ইকোসিস্টেমটা ঠিক হয়ে যাবে।

বিআরটিএর হিসেবে বর্তমানে রাজধানীর ২৯১টি রুটে চলাচল করা বাসের সংখ্যা ৯ হাজার ২৭টি। উন্নত নগরীর মতো সব বাসকে এক ছাদের নিচে আনতে যাত্রীদেরও নিয়ম মেনে চলায় অভ্যস্ত হতে হবে বলে মনে করেন খাত সংশ্লিষ্টরা।