ব্রিটিশ-পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রীয়-কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশের ভেতরে-বাহিরে কয়েকটি পক্ষ সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে মনে করে যুব বাঙালি।
সংগঠনটির নেতারা মনে করছেন, ওই সকল পক্ষ যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে তা মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের বিকল্প নেই।
শুক্রবার (২১ মার্চ ২০২৫) রাজধানীর পরিবাগে কাজী আবদুল লতিফ সাজু স্মৃতি পাঠাগার মিলনায়তনে আয়োজিত ‘অভ্যন্তরীণ পরাধীনতা বিরোধী লড়াই-সংগ্রামে যুব সমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বক্তারা এ সব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, অভ্যন্তরীণ পরাধীনতা বিরোধী লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয় এবং ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রীয়-কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনে জাতীয় ঐক্যের বহি:প্রকাশ ঘটে।
যার ফলে অন্তঃবর্তীকালীন সরকার সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেয়। সংস্কার কার্যক্রম ঠেকিয়ে পুরনো শাসনব্যবস্থা বহাল রাখতে দেশে-বিদেশে ওই বিভিন্ন পক্ষ সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। তারা বিশৃঙ্খলা ও নানাভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।
আন্দোলনকারী শক্তিসমূহের কারো কারো কার্যক্রম শুধু জাতীয় ঐক্যেই ফাঁটল ধরাচ্ছে না বরং ভেতর-বাহিরে সক্রিয় পক্ষগুলোকে শক্তি জোগাচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, জাতীয় ঐক্যকে কাঠামোগত রূপ দিতে এবং অভ্যন্তরীণ পরাধীনতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই। স্বাধীন দেশ উপযোগী রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে তরুণ-যুব সমাজকে অতীতের মতোই ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
যুব বাঙালির কেন্দ্রীয় সভাপতি রায়হান তানভীর এর সভাপতিত্বে ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলী পারভেজ এর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন মন্টু, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এর ছাত্রনেতা জনাব শরীফ মোহাম্মদ খান, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আঞ্চলিক (কুমিল্লা) সমন্বয়ক লুতফর হাসান রুমি, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এড. যোবায়ের হোসেন, বিএলএ-র কেন্দ্রীয় সংগঠক আয়নুল ইসলাম বিশাল, এড. এইউজেড প্রিন্স, যুব ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সংগঠক জাশেম আলম, নাট্য নির্মাতা সাকিল সৈকত, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি) এর সভাপতি তৌফিকুজ্জামান পীরাচা, যুব বাঙালির উপদেষ্টা কামরুজ্জাম অপু, কাজী তানসেন, কেন্দ্রীয় সংগঠক কাজী কাওছার, মো. তোফাজ্জল হোসেন, মশিউর রহমান দীপু, ওয়ালিদ হাসান ভুবন প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :