ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বাজারে ইতোমধ্যেই বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং মুরগির দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর ইব্রাহীমপুর কাঁচা বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়- ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজির দাম বেড়েছে।
বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কমলেও শীতকালীন সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে ঢেঁড়স, পটল, বরবটি এবং করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, টমেটো ২৫-৩০ টাকা, কাচা পেঁপে ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, শিম ৮০-১০০ টাকা, ধনিয়া পাতা ১০০-১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা এবং প্রতি পিস লাউ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
ইফতারে প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে প্রতি হালি লেবু ৫০-৮০ টাকায়, বেগুন প্রকারভেদে ৮০-১০০ টাকায়, ছোলা ১০০ টাকা, বুট ৯০ টাকা, খেসারি ডাল ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আলু ২৩-২৫ টাকা, পেয়াজ ৩৫-৪০ টাকা, নতুন রসুন ১৪০ টাকা, আমদানি রসুন ২৪০ টাকা, আদা ১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
এছাড়াও, মুরগির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালী মুরগি ৩১০-৩২০ টাকা, গরু ৭৮০ টাকা, খাসি ১২০০ টাকা, বকরি ১১০০ টাকা, মুরগির লাল ডিম প্রতি ডজন ১২০ টাকা এবং সাদা ডিম ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ইব্রাহীমপুর কাঁচা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী ফাহিম বলেন, ‘মৌসুম শেষে সব ধরনের সবজির দামই বেড়ে গেছে। ঢেঁড়স, পটল সহ কিছু সবজির দাম কমলেও শীতকালীন সবজির দাম বাড়ছে।
বাজার করতে আসা সোহেল রানা বলেন, ‘রোজার শুরুতে নিত্যপণ্যের দাম অনেকটা কম ছিল এবং সরকার দাম নিয়ন্ত্রণেও সঠিকভাবে কাজ করছিল। তবে এখন যেহেতু সবজির মৌসুম শেষ, দাম বাড়া কিছুটা স্বাভাবিক। কিন্তু তা যেনো অত্যধিক না হয়, সরকারকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। আর মুরগির দাম বেড়ে যাওয়া নিয়েও সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত।’
আপনার মতামত লিখুন :