পুরান ঢাকার চানখাঁরপুল এলাকায় মাদক ও অনৈতিক কার্যক্রমের প্রতিবাদ করায় বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের এক নারী শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বংশাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত ১১টার দিকে নাজিমউদ্দীন রোডের কাঠ অফিসের গলিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা আসিফের নেতৃত্বে ১৫ জনের একটি দল ভুক্তভোগীর বাড়ির সামনে এসে হামলা চালায়। এতে শিক্ষার্থী নামিরা হোসেন নেহা আহত হন এবং তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়।
ভুক্তভোগী নামিরা হোসেন নেহা বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের ২০১৯-২০ সেশনের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি চানখাঁরপুল এলাকার বাসিন্দা ও ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী।
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ)। স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াসমিন হেনা অভিযোগ করেন, আসিফ তার বাড়িতে অনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এ অভিযোগে আসিফ ইয়াসমিন হেনাকে মারধর করেন। ঝগড়া থামাতে গেলে নামিরার মামা মো. কামালও আক্রান্ত হন।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে আসিফের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী নামিরার বাড়ির সামনে হামলা চালায়। এতে নামিরা গুরুতর আহত হন। পরে তিনি বংশাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, আসিফ পূর্বে স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
ভুক্তভোগীর স্বামী মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, "আমরা তার অপকর্মের প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। আসিফ ও তার স্ত্রী নিলার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন হামলা চালিয়েছে। এতে ১৫-১৬ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছেন আমার স্ত্রী নামিরা।"
বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা বলেন, "শুক্রবার চানখাঁরপুলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে এবং উভয় পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি এসআই শফিউল তদন্ত করছেন।"
তবে, ভুক্তভোগীর অভিযোগ, পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি এবং হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নামিরা ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, "আমি বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছি। ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। যদি আবার হামলা হয়, তার দায়ভার কে নেবে?"
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসিফের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ‘দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস’ তার বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করছে।
আপনার মতামত লিখুন :