মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৫, ০৮:৫৯ পিএম

নকশা না মানায় ভাঙা হবে ঢাকার ৩৩৮২ ভবন: রাজউক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৫, ০৮:৫৯ পিএম

নকশা না মানায় ভাঙা হবে ঢাকার ৩৩৮২ ভবন: রাজউক

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ঢাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবনের অবৈধ অংশ চিহ্নিত করে ভেঙে সঠিক জায়গায় নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। 

সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম-বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সমস্যার নগরী ঢাকা: সমাধান কোন পথে?’ শীর্ষক নগর সংলাপে তিনি এ কথা জানান।

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘অবৈধ ভবনগুলোর কাজ স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিয়ে পর্যায়ক্রমে আংশিক ভেঙে ফেলা হবে। প্রথম ধাপে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ফৌজদারি মামলা দায়ের করা, নকশা বাতিল এবং প্রয়োজনে ভবনগুলো সিলগালা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজউক এলাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবন চিহ্নিত করেছি, যেগুলো নিয়মের ব্যতয় ঘটিয়েছে। ভবনগুলোর যেটুকু অংশে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে, সেটুকু ভেঙে ফেলব। আমি যতদিন দায়িত্বে আছি. তার মধ্যে এই কাজ চালিয়েই যাব। এগুলো ভেঙে হোক কিংবা অন্যভাবে হোক তাদেরকে নিয়মের মধ্যে আনব। আমরা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।’

নগর সরকার কিংবা এক ছাতার নিচে আনার মতো ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব উল্লেখ করে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঢাকাকে এক আমব্রেলার নিচে না আনলে যত পরিকল্পনাই করা হোক না কেন, কাজে আসবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সব কাজের সিদ্ধান্ত একটি জায়গা থেকে আসতে হবে। সেখানে নগর সরকার হোক কিংবা এক মেয়রের কাছে ক্ষমতা থাকুক, সেটিতে সমস্যা নেই। নগরের পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সব সেবার বিষয়ে একটি জায়গা থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

রাজউক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘এ মুহূর্তে যারা বাড়ি করে ফেলেছে, সেগুলোর ব্যবস্থা পরে নেব। সব কাজ একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। তবে আন্ডার কনস্ট্রাকশন বিল্ডিংয়ে কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না, সেটা নিশ্চিত করছি। আমাদের নতুন করে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা বেদখল হওয়া প্লটগুলো উদ্ধার করে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণির আবাসনের ব্যবস্থা করব।’

সংগঠনের সিনিয়র সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহর সঞ্চালনায় সংলাপে সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির প্রকাশনা ‘ঢাকাই’ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। একই সঙ্গে সংগঠনের উপদেষ্টা হেলিমুল আলম বিপ্লবের ঢাকার খালগুলো নিয়ে প্রকাশিত ‘Dhaka’s Canals on Their Dying Breath, An In-Depth Look at How the capital’s Waterways Are Being Choked’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিআইপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন বলেন, ‘ঢাকাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ করতে গিয়ে সমস্যায় জর্জরিত করে ফেলেছি আমরা। ঢাকা শহরের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। ঢাকার ড্যাপের পরিকল্পনায় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৩৫ লাখ মানুষের জন্য ঢাকাকে বাসযোগ্য করে গড়ে তোলা। এ ক্ষেত্রে জোনভিত্তিক পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। সুশাসন, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারলে ঢাকার বাসযোগ্যতা ফেরানো সম্ভব।’

বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র-ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা শহর প্রকৃতি, মায়া, ব্যবস্থাপনায় ঢাকা থাকার কথা। কিন্তু ঢাকা এখন বায়ু দূষণ, শব্দদূষণ, জলজটে, সিসা দূষণে ঢাকা। আমাদের আর কতদিন এই অপরিকল্পিত নগরের সমস্যাগুলো নিয়ে শিশুদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে?’

তিনি বলেন, ‘শহরের অর্ধেক মানুষ ঘুমাতে পারেন না, আমিনবাজার ও মাতুয়াইলের ল্যান্ডফিলের পোড়ানো বর্জ্যের দূষিত ধোঁয়ার কারণে। শব্দদূষণ ৮০% হয় যানবাহনের কারণে। ঢাকা শহর এখন তাপের শহর হয়ে গেছে। এই শহরে আড়াই কোটি মানুষকে নিয়ে পরিকল্পনা করা যাবে না। যদি সমস্যার সমাধান করতে না পারি, তাহলে সূচকে তলানি থেকে ওপরে উঠতে পারবে না।’

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, ‘দেশের জিডিপির এক পঞ্চমাংশ আসে ঢাকা থেকে। ঢাকার চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঘনবসতি, যানজট, দূষণ, জলাবদ্ধতা প্রভৃতি। এর অন্যতম কারণগুলো হচ্ছে ঢাকার ওপেন স্পেসগুলো দখল করা, খালগুলো দখল করা, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ভবন গড়ে তোলা।’

তিনি বলেন, ‘কোনো মন্ত্রণালয় স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে পারেনি গত আট মাসে। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক শহরের মধ্যে বস্তি ছিল৷ কিন্তু তারা সেই জায়গা থেকে ফিরে এসেছে, তারা কমিউনিটি বেইজড হাউজিং করেছে। তারা পরিবর্তন এনেছে রাজউকের মতো সংস্থার মাধ্যমে।’

‘ঢাকায় ৮ ধরনের মহল্লা আছে। সেগুলোতে তিনটি করে উদাহরণ হিসেবে যদি হাউজিং করা যায়, তাহলে অনেকেই এটি দেখে উদ্বুদ্ধ হবে।’

Link copied!