ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ১৭৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলাটি করেছেন আহত শিক্ষার্থী নয়ন হোসেনের (১৮) বাবা জাকির হোসেন।
মামলার বাদি জাকির হোসেন বলেন, গত ২০ জুলাই বেলা সাড়ে ১২টায় ছেলে নয়ন টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেয়। এসময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বন্দুক, সটগান, পিস্তল, চাপাতি, ছুরি ও বিভিন্ন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে নয়ন ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এশিয়ান জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার পা থেকে গুলি বের করা হয়।
জানা যায়, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের চাচা ও মহানগর আওয়ামী লীগেরসহ সভাপতি মতিউর রহমান মতি, নুরুল ইসলাম (৫৫), গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমার সরকার বাবু (৪০), গাজীপুর মহানগর মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আসাদুল কবির (৫৫), মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক জাকির হাসান খোকন (৫৫), গাজীপুর মহানগর মোটর শ্রমিক লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ওরফে লিটন মহাজন (৪৫), মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সদস্য কাইয়ুম সরকার (৪৫), মহানগর তাঁতীলীগের সভাপতি শাহ আলম (৪৮), গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন মোল্লা (৪০), গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমির হামজা (৩৩), আমজাদ হোসেন (৪৫), গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরু (৪৫), গিয়াস উদ্দিন সরকার (৫৫), গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাজহারুল ইসলাম দিপু (৪৫), গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ হেলাল উদ্দিন (৬০), সাবেক কাউন্সিলর সেলিম মিয়া (৫০), ইসমাইল হোসেন বাবু (৬০), টঙ্গী দলিল লেখক সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান টুটুল (৪৪), আওয়ামীলীগ নেতা মাসুম বিল্লাহ বিপ্লব (৪০), আলী আফজাল খান দুলু (৬০), কামরুজ্জামান জামান (৪৮), খালেদ সাইফুল্লাহ সেলিম (৪৩), ফয়েজ আহম্মেদ মিন্টু (৪৫). আজাহার উদ্দিন ব্যাপারী (৫০), আব্দুস কুদ্দুস পাঠান (৫৮), মতিউর রহমান ওরফে বি কম মতি (৬৫), কুদ্দুস নেতা (৬০), যুবলীগ নেতা জলিল গাজী (৫৫), ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল হোসেন জয় (৩৫), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিম (৩৫), স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হুমায়ুন কবির বাপ্পি (৩০), কাজী মঞ্জুর (৩৫), টঙ্গী পশ্চিম থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দ্বীন মোহাম্মদ নীরব (৩২), টঙ্গী পূর্ব থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শাহজাদা সেলিম লিটন (৪০), গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বিল্লাল হোসেন (৪৫), মামুনুর রশিদ মোল্লা (৪০), সাইদুল হক প্রধান লিটন (৪৫), সজল সরকারসহ আরো ১০০ জন অজ্ঞাত আসামীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ রাফিউল করিম মামলার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :