যশোর ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ঢাকাস্থ যশোরবাসীর মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যশোর মুক্ত দিবসে রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
যশোর ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে মিলনমেলায় উপস্থিত ছিলেন- ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুর রহমান, মিলনমেলা বাস্তবায়নের সদস্য সচিব ড. আব্দুল মান্নান, ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপেষক মাও. আজিজুর রহমান, মো. গোলাম রসূল, মাও. হাবিবুর রহমান, অ্যাড. গাজী এনামুল হক, অধ্যাপক মুক্তার হোসেন, মো. আরশাদুল আলমসহ যশোরের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ।
মিলনমেলায় দিনব্যাপি অনুষ্ঠানে প্রায় পাঁচ শতাধিক যশোরবাসী অংশ নেন।
মিলনমেলায় যশোর ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে -
সেবামূলক কাজ
১. শীতের সময় দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্র বিতরণ।
২. ঈদে পিছিয়ে পড়া দুঃখীদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ।
৩. বিভিন্ন সেবা সম্বলিত তথ্যকেন্দ্র ও মিডিয়া সেল গঠন।
সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন
১. পারিবারিক প্রীতিমিলনী।
২. ইফতার মাহফিলের আয়োজন।
৩. যশোর/ ঢাকায় মতবিনিময় সভা।
৪. যশোরের সমস্যা নিয়ে আলোচনা সভা, গোল টেবিল বৈঠক মানববন্ধন, দাবী পেশ ইত্যাদি।
শিক্ষা সহায়ক
১. কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা।
২. মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান।
৩. কৃতি শিক্ষার্থীদের এককালীন সহায়তা।
৪. ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের পরামর্শ/কোচিং এ সহায়তা প্রদান।
স্বাস্থ্য সহায়তা
১. পিছিয়ে পড়া যশোরবাসীদের ঢাকায় চিকিৎসা সহায়তা দান।
২. ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি, ডাক্তারের পরামর্শ পেতে সহায়তা প্রদান।
৩. হেলথ ক্যাম্প করা।
উন্নয়ন পরিকল্পনা
১. যশোরবাসীর জন্য বিশেষ করে ছাত্রদের ঢাকায় স্বল্পকালীন অবস্থানের জন্য অফিস কাম আবাসিক ফ্লাটের ব্যবস্থা করা।
২. তরুণ চাকরিপ্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত/ডাটা বেইজ তৈরী ও চাকরি অনুসন্ধানে সহায়তা করা।
৩. ঢাকাস্থ যশোরবাসীর বরেণ্যদের নিয়ে ‘যশোর ডাইরেক্টরি’ তৈরী।
৪. ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য, প্রাথমিক সদস্য ও সদস্যদের ছবি সম্বলিত এলবাম প্রকাশ।
মিলনমেলা থেকে যশোরবাসীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি পেশ করা হয়। এগুলো হলো-
• যশোরকে বিভাগ ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
• যশোর পৌরসভাকে অবিলম্বে সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়ন করতে হবে।
• যশোরকে অর্থনৈতিক জোন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
• বেনাপোল বন্দর আধুনিকায়ন ও বন্দর থেকে অর্জিত রাজস্ব বড় অংশ যশোর উন্নয়নে ব্যয় করতে হবে।
• সবজি ও ফুল সংরক্ষণে বিশেষায়িত হিমাগার স্থাপনা করতে হবে।
• যশোর বিমান বন্দর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হিসেবে উন্নীত ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করতে হবে।
• কপোতক্ষ ও ভবদহের সমস্যার স্থায়ী সমাধান ও দ্রুত বিল কপালিয়ায় জোয়ারাধার (টিআরএম) চালু করতে হবে।
• ভৈরব নদ সংস্কারের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
• দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসার সুবিধার্থে যশোর একটি কন্টেইনার পোর্ট স্থাপন করতে হবে।
• অর্থনতিক উন্নয়ন ও শিল্প বিকাশে দ্রুত গ্যাস সংযেগ চালু করতে হবে।
• খুলনা হতে ঢাকা এবং বেনাপোল হতে ঢাকা; অতিরিক্ত আরো একটি করে ট্রেন চালু করতে হবে এবং যশোর শহরে ঢাকা থেকে যাওয়া ট্রেন থামাতে হবে।
• যশোর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং ক্যাডেট কলেজ চালু করতে হবে।
• যশোরের ঐতিহ্য রক্ষায় একটি খেজুর গবেষণা ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
• যশোরে পৃথক টিভি স্টেশন ও পূর্ণাঙ্গ রেডিও স্টেশন চালু করতে হবে।
• ঝুমঝুমপুর শিল্পনগরীকে অধুনিকায়ন ও পৃথক রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) করতে হবে।
• যশোরে ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট "যশোর মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল" নির্মাণ করতে হবে।
• যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘মুন্সী মেহেরুল্লাহ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ রুপান্তর করা।
• যশোরে ফুল গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা এবং
• পাটুরিয়া-দৌলদদিয়া রুটে দ্বিতীয় পদ্মাসেতুর কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা।
আপনার মতামত লিখুন :