শীতের ছোঁয়া লেগেছে বুড়িগঙ্গা নদী তীরের অবস্থিত রাজধানী ঢাকায়। এই রাজধানীতে রিক্সা চালান রংপুরের আলী হোসেন ও মাজেদ মিয়া। শীতের পোশাক কিনতে বেছে নিয়েছেন ফুটপাতের দোকান। তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় এদের মতো নিম্ন আয়ের অনেকেরই ভরসা এসব দোকান।
জ্যাকেটর পিস ২০০, গেন্জি ১০০, শার্ট ৫০ - এভাবে মাইকে ডেকে ডেকে রাজধানীর ফার্মগেইটে বাজারের ফুটপাতে শীতের পোশাক বিক্রি করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তাদের হাঁকডাকে অনেক মানুষই ভিড় করছেন এসব দোকানে। যাদের পছন্দ হচ্ছে দামাদামি করে নিয়ে যাচ্ছেন শীতের পোশাক।
আলী হোসেন জানান, শীত পড়তে শুরু করেছে। গেঞ্জি গায়ে সকালবেলা রিক্সা চালানো যায় না। তাই শীতের জামা (শার্ট) কিনছি। দোকান থেকে কিনলে দাম বেশি নেবে, তাই ফুটপাত থেকেই কিনছি।
আলী হোসেনের সঙ্গে ছিলেন তার মাজেদ মিয়া। তিনি জানান, গরিব মানুষের একটা হলেই হয়। শীত না লাগে এমন জামা হলেই চলে। তাই কম দামে পেয়ে রাস্তার পাশ থেকে জ্যাকেটের দরদাম করছি।
শুধু শুধু আলী আর মাজেদ না, তাদের মতো অনেকেই শীতের পোশাক কিনছেন ফুটপাত থেকে। পিছিয়ে নেই নিম্ন-মধ্য আয়ের মানুষও। তারা জানান, জিনিসপত্রের যে দাম, তাতে শীতের পোশাক কেনা এখন বিলাসিতা। তবে শীত নিবারণের জন্য তো কিনতেই হবে।
সুমন হোসেন নামে ফুটপাতের এক ব্যবসায়ী জানান, গত তিন দিন ধরে ঢাকাতে শীত বাড়তে শুরু করেছে। এতে বেচা-বিক্রিও বাড়ছে। তবে এখনও তেমন জমে ওঠেনি বেচাকেনা। শীত আরও বাড়লে বেচাকেনায় ধুম পড়বে। শীতের জ্যাকেট, স্যুয়েটার, কাঁথা, কম্বল- সবই পাওয়া যাচ্ছে কম দামে।
মূলত নিম্ন আয়ের মানুষ এসব দোকানের ক্রেতা হলেও বর্তমানে নিম্ন-মধ্যবিত্তরাও এদিকে ঝুঁকছেন। এটা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। তাই এখন নিম্ন আয়ের পাশাপাশি নিম্ন-মধ্যবিত্তরাও ফুটপাত থেকে শীতের পোশাক কিনছেন। মূলত কম দাম হওয়ায় এসব পোশাকে মানুষের ঝোঁক বেশি।
আপনার মতামত লিখুন :