ঢাকা বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
যৌতুক দাবি

গৃহবধূর পেটে লাথি মেরে সন্তান হত্যার অভিযোগ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ০৭:১০ পিএম

গৃহবধূর পেটে লাথি মেরে সন্তান হত্যার অভিযোগ

ভুক্তভোগী গৃহবধূ শাপলা আক্তার। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকা: রাজধানীর রায়ের বাজারে যৌতুক না পেয়ে শাপলা আক্তার নামে এক গর্ভবতী গৃহবধূর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে স্বামী শিবলী হোসেন। নির্যাতনে গৃহবধূর রক্তক্ষরণ হয়ে পেটের সন্তান হত্যা করা হয়  বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শাপলা আক্তার নামের ওই গৃহবধূকে গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সৈয়দ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে ওই বধূকে ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন চালান পাষণ্ড স্বামী।

স্বজনরা বলছেন, বছর তিনেক আগে নেত্রকোনার মদন থানার খতেপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শিবলী হোসেনের সঙ্গে বিবাহ হয় শাপলা আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের কারণে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন গৃহবধূর ওপর অমানষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে।

জানতে চাইলে ভুক্তভোগী শাপলা আক্তার জানান, গত ২ বছর ধরে আমরা ঢাকায় থাকি। আমার স্বামী একজন সিএনজিচালক। বিয়ে পর থেকেই যৌতুকের জন্য আমার ওপরে নির্যাতন চালিয়ে আসছে। এরইমধ্যে গত বুধবার বেধড়ক মারধর করে গলা চেপে ধরে। ৬ মাসের গর্ভবতী হওয়া সত্বেও আমার পেটে লাথি মারে। এতে আমার পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী একজন প্রতারক, সে আমাকে না জানিয়ে এর আগে দুটি বিয়ে করেছে। প্রথম স্ত্রীর একটি বাচ্চাও আছে।

পরে ভুক্তভোগী গৃহবধূর ভাই খাইরুন ইসলাম বিষয়টি জানতে পেরে বোনের বাড়িতে খবর নিতে গেলে ভাইসহ বোনকে ধাক্কা দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয় পাষণ্ড স্বামী শিবলী হোসেন।

এ ঘটনার পরেও শাপলা আক্তারের ভগ্নিপতি হাবিব ইসলাম স্বামীর বাসায় আপোষ করতে গেলে অভিযুক্ত শিবলী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধারালো বটি দিয়ে হাতে আঘাত করে।

শাপলার বাবা রাশেদ মিয়া ও মা রাহেলা বেগম জানান, আমারা গরিব মানুষ। দিন এনে দিন খেই। এখন মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাব বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন!

আরবি/ এইচএম

Link copied!